সংক্ষিপ্ত
১৬ নভেম্বর, বুধবার ফের একবার রণক্ষেত্র হয় উঠল তিলত্তমার রাস্তা। এবার আন্দোলন মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে।
ফের একবার বিক্ষোভে গর্জে উঠল মহানগরীর। এবার আন্দোলন মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়। যতীন দাস পার্ক থেকে কালীঘাট মেট্রো চত্ত্বরে মুহুর্মুহু সোনা গেল স্লোগান,'চাকরি দাও, নইলে বুলেট দাও'। এবার নিয়োগের দাবিতে পথে নামল উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। কালীঘাট চত্ত্বরে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। আন্দোলন সরাতে গিয়ে আরও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও বাঁধে চাকরি প্রার্থীদের। ঘটনায় বেশ কিছু জন আহত হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। ফের একবার বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলল পুলিশ। ধুন্ধুমারকাণ্ড কালীঘাটে।
১৬ নভেম্বর, বুধবার ফের একবার রণক্ষেত্র হয় উঠল তিলত্তমার রাস্তা। এবার আন্দোলন মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে। নিয়োগের দাবিতে বুধবার বেলা ২.১৫ নাগাদ কালীঘাট ও যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনের সামনে ভিড় জমাতে থাকে ২০১৪ সালের উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। মেট্রো স্টেশনের সামনের রাস্তায় কার্যত শুয়ে পড়েন তাঁরা। পুলিশ বাধা দেওয়ায় বাঁধে ধস্তাধস্তি। আন্দোলনকারীদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। এমনকী বেসরকারি বাস, ট্যাক্সিতেও আন্দোলনকারীদের তুলতে দেখা যায়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এক মহিলা চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ পুলিশ তাঁর পোশাক ছিড়ে দিয়েছে। পুলিশের ধড়পাকড়ের সামনে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ হলেও মাথা নত করেনি বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির মধ্যেও স্লোগান উঠেছে 'নিয়োগ চাই'।
অন্যদিকে এই আন্দোলনের বিষয় পুলিশের কাছে কোনও খবর ছিল না। তবে কঠোর নিরাপত্তার কবচ ভেদ করে কীভাবে বিক্ষোভকারী হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে পৌঁছল তা ঘিরে ফের একবার প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা। গোটা ঘটনার বিষয় ইতিমধ্যেই প্রশ্ন করা হয়েছে।
গত ৯ নভেম্বর নিয়োগের দাবিতে ফের একবার পথে নামেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। বেলা বাড়তেই কলকাতার ধর্মতলা, রবীন্দ্র সদন চত্বরে জমা হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। শুরু হয় চাক্কা জ্যাম। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। পুলিশের প্রিজন ভ্যানের চাকার তলায় শুয়ে পড়েন বেশ কিছু চাকরি প্রার্থী। তাঁদের মুখে শুধু একটাই কথা, 'হয় নিয়োগ, নাহলে মৃত্যু।' কার্য রণক্ষেত্রের রূপ নেয় বুধবার দুপুরের কলকাতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন, কলকাতা পুলিশর ডিসি সাউথ আকাশ মাঘেরিয়া।
একদিকে উত্তাল এক্সাইড মোড়, এরইমধ্যে ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের সামনে ভিড় জমান টেট উত্তীর্ণদের একাংশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানিয়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। প্রত্যেকের একটাই বক্তব্য 'নিয়োগ ছাড়া জায়গা ছাড়ব না।' পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয় পড়েন অনেকে। আহতও হন বেশ কয়েকজন। অনেককে আন্দোলনস্থল থেকেই তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, 'মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি রাখছেন না। পুলিশ অমানুষের মত ব্যবহার করছে। আমরা ২০১৪ থেকে পাশ করে বসে আছি আর কতদিন বসে থাকব? এবার নিয়োগ চাই।'
আরও পড়ুন -
লিগামেন্ট সারাতে সরকারি হাসপাতালে বিপজ্জনক অস্ত্রোপচার, প্রাণটাই চলে গেল তামিলনাড়ুর কিশোরী ফুটবলারের
অনুব্রত-সুকন্যার সঙ্গে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকার যোগ! গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের সাঁড়াশি চাপ