বিভিন্ন সরকারি দফতরে মানুষকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওই পদস্থ পুলিশকর্তা লক্ষ লক্ষ টাকা লুটতেন বলে জানা গেছে।
পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শাসক দলের একের পর এক নেতার বিরুদ্ধে যে ঘোরতর অভিযোগ, সেই অভিযোগের আঁচ গিয়ে লাগল প্রশাসনিক দফতরেও। খোদ নিরাপত্তা বিভাগের অন্দরে ঘটা এমন দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে এসে পড়ায় রাজ্য জুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। ঘটনার মূলে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা।
কলকাতার পুলিশের অ্যাসিট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদায় কাজ করতেন সোমনাথ ভট্টাচার্য নামের এক ব্যক্তি। কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন সোমনাথ। তাঁর বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ী অভিযোগ তোলেন যে, পানশালার লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন তিনি। অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও পানশালার লাইসেন্স আর হয়ে ওঠেনি এবং সোমনাথও টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে একেবারে নির্বিকার ছিলেন। তখনই ওই ব্যবসায়ী গিয়ে সোমনাথের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন বরাহনগর থানায়। এই থানার তরফে জোর কদমে ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও পরে এর তদন্তভার তুলে নেয় ব্যারাকপুর গোয়েন্দা বিভাগ।
তদন্তে দেখা যায় যে, একাধিক চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও বহুবার লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ করেছেন সোমনাথ ভট্টাচার্য। ঘটনার যাবতীয় প্রমাণ দেখে নিশ্চিত হওয়ার পর বরানগরে সোমনাথের বনহুগলির বাড়ি থেকে শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। বিভিন্ন মানুষকে ঠকিয়ে অভিযুক্ত সোমনাথ মোট ৬৬ লক্ষ টাকা লুঠ করেছিলেন বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। রবিবার ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করার পর সোমনাথ ভট্টাচার্যকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন-
সেলাই মেশিনের তলায় বসে মিটিমিটি হাসছেন বলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী, ছবি দেখে কি চিনতে পারছেন তাঁদের?
পশ্চিমবঙ্গে ফের আক্রান্ত নাট্যকর্মী, রানাঘাটে পুলিশি FIR-এ ‘তৃণমূলের দুষ্কৃতী’ লেখায় থানা থেকে অসহযোগিতার অভিযোগ
PM Modi News: টুইটারে মাস্ক-মোদী যুগলবন্ধন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফলো করতে শুরু করলেন স্বয়ং টুইটার কর্তা