আর জি করে (RG Kar Medical College & Hospital) সেদিন রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? সেই প্রসঙ্গেই শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (Vineet Goyal)।
আর জি করে (RG Kar Medical College & Hospital) সেদিন রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? সেই প্রসঙ্গেই শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (Vineet Goyal)।
তিনি সেই রাতের ভিডিও ফুটেজ দেখান। ঠিক সেই রাত, যেদিন গোটা রাজ্যের মহিলারা বিচারের দাবিতে রাত জাগেন। কিন্তু দুর্গারা যখন রাস্তাতে শামিল, সেই সুযোগে একদল দুষ্কৃতি আর জি কর হাসপাতালে ঢুকে পড়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। হাসপাতালের ভিতর ঢুকে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আন্দোলনরত চিকিৎসক এবং নার্সদেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আর এবার এই প্রসঙ্গেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। উল্লেখ্য, তাঁর নির্দেশেই কিন্তু সেই রাতে মিডিয়াকে ব্যারিকেড দিয়ে আটকানো হয়েছিল। শুক্রবার, কলকাতার পুলিশ কমিশনার প্রথমে সাংবাদিকদের সেই রাতের ভিডিও দেখাতে শুরু করেন।
সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, বহু মানুষ হাসপাতালে ঢুকতে শুরু করে দিয়েছেন। সিপি জানান, ডিসি (নর্থ)-কে দেখা গেছে আরজি কর চত্বরে। পুলিশ কমিশনারের কথায়, “যখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোনও জমায়েত হয় এবং নেতৃত্ব থাকে না, তখন তা নিয়ন্ত্রণ করা ভীষণ কঠিন হয়ে যায়। সেদিন সারা শহর জুড়ে জমায়েত ছিল। অনেক পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছিল। আর জি করে নিজে ডিসিপি ছিলেন। ফেসবুকে ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেছি আমরা।”
তিনি বলেন, “চারিদিকে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কেউ বলছেন গণধর্ষণ হয়েছে। কেউ আবার বলছেন, ১৫০ গ্রাম বীর্য পাওয়া গেছে। কোথা থেকে এল এইসব তথ্য? বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা চলছে। আমাদের কিছু লুকানোর নেই। দয়া করে গুজব ছড়াবেন না। প্রমাণ ছাড়া আমরা কাউকে গ্রেফতার করতে পারি না। কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি না।”
কমিশনার জানান, “মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেনি পুলিশ। আসলে বুধবার রাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছিলাম আমরা। আমাদের ডিসি পর্যায়ের আধিকারিকও উপস্থিত ছিলেন। তবুও ব্যারিকেড ভাঙা হয়েছে। ডিসিপি নিজে আহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে, অনেক পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন সেদিন।”
কমিশনার বলেন, “সেই রাতে ডিসিপির মাথা ফাটায় আমাদের ফোর্স বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। তাই আমাদের সবটা সামলে নিতে সময় লেগে যায়। আর জি কর-এর সামনে আন্দোলন যে আচমকা এইরকম হিংসাত্মক হয়ে উঠবে, তা ভাবতে পারিনি আমরা।” কার্যত ব্যর্থতা মেনে নিলেন পুলিশ কমিশনার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।