শনিবার সকাল থেকেই চড়ছিল কসবা কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, উত্তেজানা। পথে নামে বিজেপি ও কংগ্রেস। গড়িয়াহাটের কাছে ব্যারিকেড করে বিজেপির মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
210
কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ
কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সিট গঠন করল কলকাতা পুলিশ। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার কলকাতা পুলিশ রবিন কুমার ঘোষালের নেতৃত্বে এই বিশেষ টিম কসবা কাণ্ডে তদন্ত করবে।
310
কসবা কাণ্ডে সিট গঠন
কসবা কাণ্ডের পুন: গঠন করবে কলকাতা পুলিশ। কসবা কাণ্ডে মেডিকো লিগ্যাল পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে এই মেডিকো লিগাল পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত। নখের আঁচড় থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রমাণ খুঁজে পেতে এই সিদ্ধান্ত।
এদিকে, কসবাকাণ্ডে গ্রেফতার কলেজের নিরাপত্তারক্ষী। তার সঙ্গে সঙ্গে ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল ৪। ধৃত গার্ডকে শনিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে তদন্তের স্বার্থে তাকে ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
510
নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতেই গ্রেফতার
সরকারি পক্ষের আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল জানান, গার্ডের সঙ্গে যোগসাজশ করেই নির্যাতিতার ওপর গণধর্ষণ চালায় অভিযুক্তরা। সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ধর্ষিতা ছাত্রী জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনার আগে বারবার সাহায্য চেয়ে নিরাপত্তারক্ষীর থেকে সাহায্য মেলেনি।
610
অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ
অভিযোগ, মনোজিতদের নির্দেশ মিলতেই গার্ড রুম ছেড়ে বেরিয়ে যান ওই নিরাপত্তা রক্ষী। নিজের করা এফআইআর’এ অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন ধর্ষিতা ছাত্রী। কেন নিরাপত্তা রক্ষী নিজের কাজ করেননি, কেন সব জেনেও চুপ করে ছিলেন তিনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিরাপত্তা রক্ষীর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ।
710
ঘটনার সময় ডিউটিতে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী
২৫ জুন ঘটনার সময় ডিউটিতে ছিলেন ওই নিরাপত্তারক্ষী। ধৃত২ পড়ুয়াকে জেরা করে নিরাপত্তা রক্ষীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে দফায় দফায় জেরে করে প্রথমে আটক, তারপর গ্রেফতার করা হয়।
810
নিজের ঘরের বাইরে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী
ঘটনার সময় ইউনিয়ন রুমের বাইরে পাহারায় ছিল দুই আইন পড়ুয়া। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত, প্রায় চার ঘণ্টা সময় নিরাপত্তা রক্ষী নিজের ঘর থেকে বাইরে ছিলেন।
910
গণধর্ষণের প্রমাণ স্পষ্ট
নিজের কলেজেই গণধর্ষিতা হয়েছেন ওই আইনের ছাত্রী। ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে আগেই মনোজিত মিশ্র, প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং জেব আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফরেন্সিক টিম উদ্ধার করেছে চুল। প্রমাণ মিলেছে ধস্তাধস্তিরও। নির্যাতিতার মেডিক্যালে গলায় কামড়ের দাগ, সারা শরীরে মারধরের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যৌনাঙ্গে রয়েছে গভীর ক্ষত। সব মিলিয়ে গণধর্ষণের প্রমাণ স্পষ্ট।
1010
স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ
কসবার আইন কলেজে তরুণী ছাত্রী ধর্ষণ হওয়ার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এই ঘটনায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানিয়ে তিন দিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে পুলিশকে। শনিবার রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছেও এই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।