
Bag bazar Death News: খাস কলকাতায় (Kolkata News) ফের উদ্ধার রহস্যময় অগ্নিদগ্ধ দেহ। বাগবাজারের নিবেদিতা লেনে একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের একদম নিচের তলা থেকে এক ব্যক্তির অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এই ঘটনা খুনের নাকি আত্মহত্যা তা এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় শ্যামপুকুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তবে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সম্ভবত খুনই করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। তবে কে বা কারা এই খুন করেছে তা এখন তদন্ত সাপেক্ষ।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান, মৃত এই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে খুনের পর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পুরো বিষয়টি এখনও ধোঁয়াশার মধ্যেই রয়েছে। ওই ব্যক্তির ময়নাতদন্তের সমস্ত রিপোর্ট আসার পরই আসল ঘটনা স্পষ্ট জানা যাবে বলে জানিয়েছে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, শনিবার সকালে ঘটনাস্থলের স্থানীয় বাসিন্দারা একটি অস্বাভাবিক পোড়া গন্ধ পান বলে অভিযোগ করেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই পোড়া গন্ধের উৎস পাওয়া যায়। তারা বুঝতে পারেন ওই নির্মীয়মান বহুতল থেকে আসছে ওই গন্ধ। তারপর সেখানে গিয়েই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান এক ব্যক্তির দগ্ধ দেহ পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ জানতে পারে, বহুতলের গেটে তালা লাগানো ছিল। এই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৫৫ কিংবা তার বেশি। এদিকে ঘটনার খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বাগবাজার এলাকায়।
অন্যদিকে, নকল পুলিশের পরিচয় দিয়ে হ্যাক হয়ে যাওয়া ফোনের ডিএক্টিভেট করবার জন্য কলেজ ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার অপরাধে যাবজ্জীবনের সাজা দিল বারাসাত আদালত। ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অভিযুক্তর। মধ্যমগ্রাম থানা এলাকার এক কলেজ ছাত্রীকে ২০২২ সালের ১৪ মে দত্তপুকুর থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে ফোন করে অভিযুক্ত। মধ্যমগ্রাম থানার এক পুলিশ আধিকারিকের কাছে যেতে বলেন ওই ছাত্রীকে।
ডিএক্টিভেট করবার জন্য ছাত্রী ফোন এবং তার বাবাকে নিয়ে মধ্যমগ্রাম থানায় গেলে সেখান থেকে আরও খানিকটা দূরে কীর্তিপুর পঞ্চায়েতের কৃষ্ণমাটি এলাকায় ডেকে নিয়ে যান। নিজের হ্যাক হয়ে যাওয়া ফোন ডিএক্টিভেট করবার জন্য ওই কলেজ ছাত্রী তার কথামতো কৃষ্ণমাটি এলাকায় যান।
অভিযোগ, তার বাবাকে বাজারের মধ্যে রেখে অভিযুক্তের বলা পোল্ট্রি ফার্মে চলে যান ওই কলেজ ছাত্রী। সেখানে গেলেই অভিযুক্তর সঙ্গে কলেজ ছাত্রীর ফোন চ্যাট ডিলিট করে দিয়ে তাকে জামা খুলতে বাধ্য করেন। তারপর তাকে ধর্ষণ করে তার অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ভয় দেখান বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভয়ে ওই ছাত্রী বিষয়টি পরিবারের কাউকে কিছু জানায়নি। পরে ওই ভিডিয়োর ভয় দেখিয়ে তাকে আবার ডেকে পাঠায় অভিযুক্ত। এরপর ওই কলেজ ছাত্রী মধ্যমগ্রাম থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর ২০২২ সালের ২৪ মে বাহার আলী নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার অপরাধে যাবজ্জীবনের সাজা দিল বারাসাত আদালত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।