তাদের কথায়, ঘৃণ্য অপরাধ হওয়ার পরে সেটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এই অপরাধের সুবিচার হলে তবেই পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা পরিষেবা দিতে পারবেন।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল সারা বাংলা। ডাক্তার থেকে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত এই তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদ করে চলেছেন। রাত দখল, নবান্ন অভিযান, লালবাজার অভিযান থেকে আরও অনেক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন তাঁরা। তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। এখনও অধরা দোষীরা। এহেন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হলেন প্রতিবাদী চিকিৎসকরেরা। চাইলেন সাহায্য। সদ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন তাঁরা।
চিঠিতে তাঁদের দাবি, এহেন পরিস্থিতিে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চান। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপই তাঁদের কাছে একমাত্র আশার আলো। কর্মক্ষেত্রে কতরকমের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তা উল্লেখ আছে এই চিঠিতে। তাদের কথায়, ঘৃণ্য অপরাধ হওয়ার পরে সেটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এই অপরাধের সুবিচার হলে তবেই পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা পরিষেবা দিতে পারবেন।
এই চিঠি পাঠানো হয়েছে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডাকে। তাঁদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই এই জটিল পরিস্থিতিতে প্রতিবাদী চিকিৎসকরা আশার আলো দেখতে পাবেন।
এদিকে আজ আবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গেল সিবিআই-র দল। তারা আরজি করের অধ্যক্ষের বিল্ডিং-এ তল্লাশি চালায় বলে খবর। ঘটনাস্থল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছে। কথা বলেছে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে । আর জি কর কাণ্ডে খুনের মোটিভ এখনও খুঁজে পায়নি সি বি আই কর্তারা। এখনও চলছে তদন্ত। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে সামনে এসেছে একের পর এক অবিশ্বাস্য তথ্য। সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতি এসেছে সামনে। আর্থিক তছরূপ থেকে মৃতদেহ নিয়ে দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে এসেছে।