বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ থেকে কলকাতায় ফিরেছেন মিনাক্ষী। সকাল ১০টা নাগাদ শিয়ালদহ স্টেশনে নামেন তিনি। সেখান থেকেই সরাসরি সিজিওতে যান তিনি। গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে গেলেন বাম যুবনেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে মিনাক্ষীকে তলব করেছিল সিবিআই। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বৃহস্পতিবার সকালেই জানিয়েছিলেন, বেলা ১১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে যাবেন তিনি। সেই মত এদিন পৌঁছে যান সেখানে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ থেকে কলকাতায় ফিরেছেন মিনাক্ষী। সকাল ১০টা নাগাদ শিয়ালদহ স্টেশনে নামেন তিনি। সেখান থেকেই সরাসরি সিজিওতে যান তিনি। গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটে। সে দিনই হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন মিনাক্ষী। মিনাক্ষীর দলের তরফে একাধিক বার দাবি করা হয়েছে যে, মূলত বাম যুবনেত্রীর চেষ্টাতেই নির্যাতিতার দেহ দ্রুত দাহ করতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল। মিনাক্ষী পুলিশের গাড়ি আটকাচ্ছেন, এই ছবিও সমাজমাধ্যমে ভাইরালও হয়।
১৪ অগস্ট রাতে একদল উন্মত্ত জনতা আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। আরজি করের ব্যারিকেড ভাঙার সময়ে সিপিএমের যুব সংগঠনের পতাকা দেখা যাচ্ছে এই রকম একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা দেখা গিয়েছে।ভাঙচুরের ঘটনায় মিনাক্ষীকে নোটিস দিয়ে তলব করেছিল কলকাতা পুলিশ। গত ২৬ অগস্ট মিছিল করে লালবাজারে যান মিনাক্ষীরা। এদিকে, সিপিএমের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে সিবিআই আধিকারিক পরিচয় দিয়ে এক জন ফোন করেছিলেন মিনাক্ষীকে। দলের তরফে সেই ব্যক্তির পরিচয় খতিয়ে দেখা হয়। সিবিআই আধিকারিকের পরিচয় সম্পর্কে নিঃসংশয় হওয়ার পর মিনাক্ষী তদন্তকারী সংস্থাটির দফতরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।