লোকসভা নির্বাচন প্রায় শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। আর মাত্র বাকি এক দফা। তার আগেই ভাঙড় নিয়ে রীতিমতো সতর্ক রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। ভাঙড়ের অন্তর্গত চারটি থানার হাতে আধুনিক প্রযুক্তির রাইফেল তুলে দিল লালবাজার।
লোকসভা নির্বাচন প্রায় শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। আর মাত্র বাকি এক দফা। তার আগেই ভাঙড় নিয়ে রীতিমতো সতর্ক রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। ভাঙড়ের অন্তর্গত চারটি থানার হাতে আধুনিক প্রযুক্তির রাইফেল তুলে দিল লালবাজার।
গোটা রাজ্যে শেষ হয়েছে ছয় দফার শেষ লোকসভা নির্বাচন। আর বাকি রয়েছে একটি দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। কিন্তু ইতিমধ্যেই ভোটের দিন বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাস এবং অপ্রীতিকর ঘটনার খবর এসেছে। কোথাও ধরা পড়েছে ভুয়ো এজেন্ট। অনেক জায়গায় ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠে এসেছে। এমনকি কিছু জায়গায় প্রার্থীদের ওপরও হামলার খবর সামনে এসেছে। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী বহু জায়গাতেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছে।
আর আগামী ১ জুন শনিবার, রাজ্যের ৯টি লোকসভায় শেষ দফার নির্বাচন। যার মধ্যে রয়েছে ভাঙড়। মূলত যাদবপুর লোকসভার মধ্যে পড়ে এই ভাঙড় বিধানসভা। গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই ভাঙড়েই ব্যাপক সন্ত্রাসের ছবি সামনে এসেছিল। ভোটের দিন বোমা পড়েছিল এই এলাকায়। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে ভাঙড় নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক প্রশাসন।
এই এলাকায় দুষ্কৃতিদের ঠেকাতে ভাঙড়ের চারটি থানার হাতেই আধুনিক রাইফেল তুলে দিল লালবাজার। ভাঙড়ের অন্তর্গত চারটি থানার পুলিশবাহিনীর হাতে বিশেষ প্রযুক্তিসম্পন্ন এক্স-ক্যালিবার রাইফেল তুলে দিলেন লালবাজারের পুলিশকর্তারা।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশের নতুন ডিভিশন অনুযায়ী ভাঙড়ের মধ্যে রয়েছে মোট চারটি থানা। এমনিতেই ভাঙড় একটি উত্তপ্ত এলাকা। তার মধ্যে আবার নির্বাচন। তাই এবার এই বিধানসভাটির দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা।
যারা মূলত গোলমাল পাকায়, তাদের চিহ্নিতকরণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিক এবং লালবাজারের গোয়েন্দারা। কিন্তু কোনওরকম ঝামেলা হলে বা সংঘর্ষ আটকানোর সময় যাতে পুলিশ আক্রান্ত না হয়, সেদিকেও চোখ রয়েছে লালবাজারের। তাই ভাঙড় এলাকার প্রত্যেকটি থানায় পৌঁছে গেল আধুনিক রাইফেল।
আধুনিক এক্স-ক্যালিবার রাইফেল তুলে দেওয়া হয় উত্তর কাশীপুর থানার হাতে। তারপর ভাঙড়, পোলেরহাট এবং চন্দনেশ্বর থানার পুলিশের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় সেই রাইফেল। লালবাজার সূত্রে জানা গেছে, ভাঙড় ডিভিশনের সমস্ত থানার হাতে মোট ১৬টি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল রয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই আধুনিক রাইফেল নিয়ে টহল দিতে শুরু করেছে পুলিশ। বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে রুটমার্চ করছে বিশাল পুলিশবাহিনী। ভোটারদের আশ্বস্ত করতে পুলিশ বাড়তি দায়িত্ব নিচ্ছে। এখন দেখার বিষয় এটিই যে, ভোটের দিন শেষপর্যন্ত ভাঙড় শান্ত থাকে কিনা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।