রাত পোহালেই লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। কিন্তু অশান্তি যেন থামছেই না। শহরজুড়ে ফের গোলমালের খবর।
রাত পোহালেই লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। কিন্তু অশান্তি যেন থামছেই না। শহরজুড়ে ফের গোলমালের খবর।
ভোটের আগে এবং ভোটের পরে, অশান্তি যেন থামছেই না। শহর কলকাতায় ক্রমশই বাড়ছে ভোট পরবর্তী হিংসা। শুধুমাত্র পোলিং এজেন্ট হওয়ার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের এক কর্মী আক্রান্ত হলেন কলকাতায়। কোথাও আবার মারধরের অভিযোগ উঠেছে রাতের অন্ধকারে। এমনকি, হামলার ভয়ে কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন পার্টি অফিসেও।
সেইসঙ্গে, চোখরাঙানি, হুমকি, বাড়ি ভাঙচুর, শাসানি এসব তো চলছেই। শনিবার সপ্তম দফা ভোটগ্রহণের পর থেকেই যাদবপুর, ট্যাংরা, বেলেঘাটা, আলিপুর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এইরকম অভিযোগ সামনে আসছে। কলকাতার নানা এলাকা থেকে অশান্তির খবর আসছে। এখনও তো ভোটের ফলই ঘোষণা হয়নি। তার আগেই যদি এই অবস্থা হয়, ফল ঘোষণার পর তাহলে কি হবে?
নির্বাচনের আগে থেকেই উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা থেকে অশান্তির খবর সামনে আসছিল। আর ভোটের পরও সেই এলাকা থেকে গোলমালের খবর সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে, এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের পোলিং এজেন্ট হিসেবে বুথে বসার জন্য একজন বিজেপি কর্মীর চোখের কোণ ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, শেষ দফা ভোটের পর টালিগঞ্জের দুই বিজেপি কর্মীর ওপরও হামলার অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। জানা যাচ্ছে, তাদের মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এমনকি, মেরে তাদের মধ্যে একজনের দাঁতও ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
রীতিমতো আশঙ্কায় রয়েছেন অনেকেই। উত্তর কলকাতায় বিজেপির পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়েছেন বেশকিছু কর্মী এবং সমর্থক। তবে শুধু বিজেপি কর্মীরা নন, আক্রান্ত সিপিএম কর্মীরাও। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের পর একাধিক বাম কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনকি, ১০২ এবং ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক সিপিএম কর্মীর বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে।
লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার আগেই যেভাবে নানা এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে, মঙ্গলবার ফলপ্রকাশের পর পরিস্থিতি কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছবে সেই নিয়েই চিন্তায় প্রশাসন। তাই ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে ৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রে মোতায়েন রাখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে, প্রতিটি থানাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।