রাত পোহালেই লোকসভা নির্বাচনের ফাইনাল রেজাল্ট। তার আগেই ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বেশ চিন্তায় রাজ্য প্রশাসন। তাই ভোটের পরও ২৮ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুলিশ।
রাত পোহালেই লোকসভা নির্বাচনের ফাইনাল রেজাল্ট। তার আগেই ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বেশ চিন্তায় রাজ্য প্রশাসন। তাই ভোটের পরও ২৮ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুলিশ।
মঙ্গলবার, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশ। আর শেষ দফা ভোটের আগে এবং ভোটের দিন বারবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। নির্বাচনের দিন বহু এলাকায় তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষের ঘটনা সামনে আসে। কোথাও কোথাও বোম পড়ার ঘটনাও প্রকাশ্যে আসে। আর এবার ভোটের ফলপ্রকাশ। তারপর ভাঙড়ের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেই চিন্তায় ঘুম ছুটেছে রাজ্য প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের। তাই ভোট মিটে গেলেও অশান্তির আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সেইজন্য ভোটের পরও ভাঙড়ে মোতায়েন থাকবে ২৮ কোম্পানি বাহিনী। নির্বাচনী ফলপ্রকাশের পর যাতে অশান্তি না হয়, তার জন্য বদ্ধপরিকর কমিশন। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কিছু সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে, পুলিশকেও তৎপর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। লালবাজার সূত্রে খবর, শহরে প্রায় চার হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
প্রসঙ্গত, মোট ১৪টি ভোট কাউন্টিং সেন্টার রয়েছে কলকাতা পুলিশের অধীনে। তার মধ্যে হেস্টিংস এবং নেতাজি ইনডোরের মতো বড় কেন্দ্রগুলিও রয়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রায় ১৫০-২০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে। আর সঙ্গে থাকবে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বড় ভোটগণনা কেন্দ্রগুলিতে প্রায় ৩৫০-৪০০ জন পুলিশকর্মীকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। সেইসঙ্গে, দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও মোতায়েন রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
কিন্তু বারবার কলকাতা পুলিশের বিশেষ নজরে রয়েছে সেই হাইভোল্টেজ ভাঙড়। ইতিমধ্যেই এই এলাকার ২০টি জায়গা চিহ্নিত করেছেন লালবাজারের কর্তারা। সেই সব জায়গায় ভোটগণনা এবং গণনা পরবর্তী অশান্তি হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা। ভোটের দিন এবং ভোট পরবর্তী ঝামেলা নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনটি মামলা রুজু হয়েছে এই ভাঙড় এলাকা নিয়ে। এমনকি অভিযোগ পেয়ে আট জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
তাই গণনার দিন এবং তারপরেও অশান্তি এড়াতে ভাঙড়কে রীতিমতো আতসকাচের তলায় রাখেছে লালবাজার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।