
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে শুধুমাত্র বিজেপি-কে নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার চার দিন পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় পূর্বতন বাম সরকার। মহানায়ক উত্তম কুমারের ৪৩তম মৃত্যু বার্ষিকীতে 'মহানায়ক' সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে বাম সরকারকে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমরা রবীন্দ্র সদন সকলেই দিয়েদি। কিন্তু উত্তম কুমারের মৃত্যুর পর সেই দিনের সরকার রবীন্দ্র সদনে তাঁর মৃতদেহ রাখার প্রয়োজনীয়তা মনে করেনি।' সেই কারণে তখন তাঁকে অনেকেই শ্রদ্ধা জানাতে পারেননি অনেকে। মমতা আরও বলেন, উত্তম কুমারের পরিবারের সকলে নিয়ে আর চলচ্চিত্র জগতের সকলে নিয়ে অনুষ্ঠান করেন।
এদিন, কোয়েল মল্লিক, অঙ্কুশ, সায়ন্তিকা , শ্রবন্তী , শুভশ্রী, অনির্বান ও সহিনীকে মহানায়ক সম্মান প্রদান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মমতা বলেন, উত্তম কুমারকে কেউ মহানায়ক করেনি, এই সম্মান তাঁকে মানুষ দিয়েছে। তিনি নিজে নিজের যোগ্যতা অর্জন করেছেন। মমতা বলেন তাই এই মহানায়ক সম্মান বর্তমান যে শিল্পিরা পেয়ে থাকে তাদের কাছে এটা বিশেষ সম্মানের। এদিন এই বিষয় নিয়ে মমতা সঙ্গীতশিল্পি নচিকেতার সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন। মমতা এদিন উত্তমকুমারের মৃত্যুর দিনের কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, সেই দিন রাত সাড়ে নটার সময় তিনি আর তাঁর মা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। সেই সময়ই কয়েকটি ছেলে আলোচনা করছিল মহানয়াক উত্তম কুমারের মৃত্যু হয়েছিল। সেদিন সেই ভাবেই তিনি জেনেছিলেন উত্তম কুমারের মৃত্যু সংবাদ। মমতা আরও বলেন, সেদিনের বাম সরকা রবীন্দ্র সদনে মহানায়কের মরদের রাখার ব্যবস্থা করেনি। তার জন্য তাঁর মত অনেকেই সেদিন মহানায়ককে সম্মান জানাতে পারেনি। অনেক শিল্পিরাও বঞ্চিত ছিলেন। কিন্তু তার সরকার এজাতীয় রাজনীতি করে না বলেও জানান তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানিয়ে দেন, তাঁর সরকার সকল শিল্পিকে সম্মান জানিয়েছে। যারা নতুন কাজ করছে তাদের সম্মান জানিয়েছে। তিনি বলেন, ছোটদের কেউ পাত্তাই দিতে চায় না। তাই তাঁর সরকার নতুনদের জন্য এগিয়ে এসেছে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান উত্তম কুমারের ছবির গানগুলি মঞ্চে উপস্থিত শিল্পিদের গাইতে বলেন। তিনি বলেন এজাতীয় অনুষ্ঠানে তিনি পুরো সময়টাই থেকেন। তাঁর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ভাল লাগে। তাঁর মন এজাতীয় অনুষ্ঠানে এলে হালকা হয়ে যায় বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।