তিনি সরাসরি দুর্নীতি নিয়ে বার্তা দেন রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যান ও পঞ্চায়েত প্রধানদের। তিনি বললেন, কারও বিরুদ্ধে যেন অভিযোগ না পাই আমরা, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বললেন, আমি চাই যে আমরা গরিবই থাকি
২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিকে তাকিয়ে ছিল গোটা রাজ্য। একের পর এক বড় ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন তিনি। তিনি বলেন আমার কাছে ১০ লাখ সরকারি চাকরি রেডি আছে। কোর্টে যাচ্ছে। পিল খাচ্ছে। ওবিসি উঠবে না। ওবিসি নিয়ে লড়ছি আমরা। কারও চাকরি যাবে না।
তিনি সরাসরি দুর্নীতি নিয়ে বার্তা দেন রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যান ও পঞ্চায়েত প্রধানদের। তিনি বললেন, কারও বিরুদ্ধে যেন অভিযোগ না পাই আমরা, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বললেন, আমি চাই যে আমরা গরিবই থাকি। বৃষ্টির জল পড়ল। একবার স্নান করব, ধুয়ে যাবে। কিন্তু গায়ে বা মনে একবার নোংরা লাগলে, সেটা লেগেই থাকবে। নির্বাচিত হয়ে যাঁরা মানুষের সেবা করবেন না, তাঁদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখব না। দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস করা যাবে না।
এদিন প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অশান্তি নিয়েও মুখ খোলেন মমতা। তিনি বলেন বাংলাদেশ নিয়ে কোনও সহযোগিতার প্রয়োজন থাকলে বলবেন, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সাহায্য করবেন। বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। যা বলবে, ভারত সরকার বলবে। অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজায় আসেন, তাহলে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হবে। কারণ রিফিউজিদের আশ্রয় দেওয়া দিয়ে বিষয় আছে রাষ্ট্রসংঘের।
চব্বিশে একুশের মঞ্চ থেকে কি ছাব্বিশের সুর বাঁধবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়? গত বছর ধরে যে ট্র্যাডিশন চলছে, তাতে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে আগামিদিনের কর্মসূচির সুর বেঁধে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।