'এসব করা চলবে না..' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের! কী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী?

Published : Jul 17, 2024, 09:43 AM IST
Mamata

সংক্ষিপ্ত

উপনির্বাচনের পর সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণের ইস্যুতে জটিলতার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ টানাপোড়নও চলে। এর প্রেক্ষিতেই আগের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে রাজভবনে যেতে মহিলারা ‘ভয়’ পাচ্ছেন বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন মমতা।

গত মে মাসে রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন কলকাতা পুলিশের কাছে। সেই নিয়ে বহু জল ঘোলা হয়। এরপর সেই প্রসঙ্গ টেনেই সম্প্রতি এক প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, “মহিলারা আমাকে জানিয়েছেন রাজভবনে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির কারণে তারা রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন।” মমতা বলেন, ‘রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে। আমার কাছে অভিযোগ করেছে ওরা।’

এই ঘটনা ছাড়াও উপনির্বাচনের পর দুই তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণের ইস্যুতে জটিলতার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ টানাপোড়নও চলে। এর প্রেক্ষিতেই আগের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে রাজভবনে যেতে মহিলারা ‘ভয়’ পাচ্ছেন বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন মমতা।

মমতার এই মন্তব্যের পরই রাজ্যপাল বোস জানিয়েছিলেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যথেষ্ট সম্মান করেন। তবে যদি তার চরিত্র নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেন, আত্মমর্যাদায় আঘাত করেন তাহলে কখনই তিনি সহ্য করবেন না। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন।

মমতা-সহ চার জনকে রাজ্যপাল সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে আগামী ১৪ অগস্ট পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও রিয়াদ হোসেন এই চার জনকে (যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল) রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ হাইকোর্টের। যদিও মূল মামলার বিচার এখনও শুরু হয়নি।

হাইকোর্টের বক্তব্য, রাজ্যপালকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা যায় না। সোশ্য়াল মিডিয়া প্লাটফর্মের সুযোগ নিয়ে এসব করা উচিৎ নয়। যদি এই পর্যায়ে অন্তর্বর্তী আদেশ মঞ্জুর-না করা হয় তবে মামলাকারীর (রাজ্যপাল) বিরুদ্ধে মানহানিকর বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টিতে উৎসাহ দেওয়া হবে। উনি সাংবিধানিক প্রধান। তাই ওনার বিরুদ্ধে যাতে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করা না হয় সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের করা মানহানির মামলায় এমনটাই মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

Today Live News: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হতেই ফাঁস প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের কীর্তি, ধূপগুড়িতে রাজনৈতিক চাপানউতোর
এবার প্রবীণদের জন্য ভালো খবর, চালু হল Uber-এর সহজ ক্যাব বুকিং ফিচার