
Kolkata News: পারিবারিক ঝগড়াকে কেন্দ্রকরে চাঞ্চল্যকর ঘটনায় রক্তাক্ত হলেন এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকাল প্রায় ৮টার সময় ব্রাহ্মণপুরে সুকুর আলির চায়ের দোকানের সামনে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রাহ্মণপুর প্লেসের এ–ওয়ান এলাকায় বাস করেন অসীমা নস্কর ও তাঁর স্বামী হরিপদ নস্কর। অসীমা নস্কর পেশায় গৃহকর্মী। স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। হরিপদের সন্দেহ ছিল স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে, যা থেকেই বারবার দাম্পত্য কলহ তৈরি হতো।
বুধবার সকালে প্রকাশ্যে দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাগবিতণ্ডার সময় হরিপদ হঠাৎই ছুরি বের করে অসীমার গলায় আঘাত করে। ঘটনাটি ঘটে তাঁর নাবালক ছেলের চোখের সামনে। আহত অসীমাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। অপরদিকে অভিযুক্ত স্বামী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার জন্য তল্লাশি শুরু করেছে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এদিকে বাগুইহাটির রঘুনাথপুর পুকুর থেকে ফল বিক্রেতার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। পূর্বতন রাজারহাট গোপালপুর পৌরসভার সামনে পুকুরে এক ব্যক্তির মৃতদেহ ভাসতে দেখে প্রাতঃভ্রমণকারীরা, খবর দেওয়া হয় বাগুইআটি থানায়, পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে আর জি কর হাসপাতালে। পুলিশ মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানতে পেরেছে , পেশায় ফল বিক্রেতা হাবড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সাহা।
ভিআইপি রঘুনাথপুরে ফলের দোকান গতকাল থেকেই দোকানে তিনি যাননি ,তার কর্মচারী দোকানদারি করেছেন। আজ সকালে দোকান থেকে প্রায় সাতশমিটার দূরে পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে বাঁ পায়ের কনিষ্ঠা আঙ্গুলে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে এমনটাই পুলিশ সূত্র মারফত খবর। ময়না তদন্তের পর বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দাদাগিরি। মহিলাকে বিবস্ত্রকরে মারধর করার অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা চন্দন মাইতি ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। চন্দন মাইতি এলাকার দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হিসেবেই পরিচিত। অন্যদিকে মহিলা গোটা বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগর থানার এলাকার এক্তারপুর গ্রামের বাসিন্দা দীপিকা মাইতি, তার অভিযোগ প্রতিবেশী তৃণমূল নেতা চন্দন মাইতির সঙ্গে পারিবারিক পুরনো বিবাদের আক্রোশে আক্রান্ত হন। অভিযোগকারী দীপিকা মাইতি বলেন ,'হঠাৎ আমার বাড়িতে রাতে এসে চড়াও হয়ে আমাকে অতর্কিতভাবে মারতে থাকে এবং আমার পরনের সমস্ত কাপড় ছিড়ে দেয় । আমাকে বিবস্ত করে মারতে থাকে'। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীপিকা মাইতি শ্রীলতাহানির অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।