সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে বহু শিশু মিড-ডে মিলের জন্যই স্কুলে যায়। ফলে তাদের জন্য মিড-ডে মিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মিড-ডে মিলে প্রতি পড়ুয়ার জন্য বরাদ্দ এখনও ১০ টাকাও হল না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতি পড়ুয়ার জন্য বরাদ্দ ছিল ৫.৪৫ টাকা। তা এবার বেড়ে হল ৬.১৯ টাকা। উচ্চ প্রাথমিকে প্রতি পড়ুয়ার জন্য এতদিন বরাদ্দ ছিল ৮.১৭ টাকা। তা এবার বেড়ে হল ৯.২৯ টাকা। ২০২৪ সালের শেষদিকে এসে এই বরাদ্দ যৎসামান্য। সব খাদ্যপণ্য এবং অন্যান্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় মিড-ডে মিলের জন্য বরাদ্দ সেভাবে বাড়ছে না। ফলে স্কুলে শিশুদের ভালো মানের খাবার দেওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। স্কুল-পড়ুয়ারা পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না। এই কারণে শিক্ষাবিদরা খুশি নন। তাঁরা মিড-ডে মিলের মান বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন।
১ ডিসেম্বর থেকে মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি
মিড-ডে মিলের খরচের ৬০ শতাংশ বহন করে কেন্দ্রীয় সরকার এবং ৪০ শতাংশ খরচ বহন করে রাজ্য সরকার। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রকের অধীন স্কুল শিক্ষা ও সাক্ষরতা বিভাগের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারগুলিকে চিঠি দিয়ে মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা জানানো হয়েছে। ১ ডিসেম্বর থেকেই নতুন বরাদ্দ চালু হয়ে যাচ্ছে। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলিকেও মিড-ডে মিলের জন্য নতুন হারে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।
মিড-ডে মিলে ভালো খাবার পাওয়া যাবে?
মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও যে খরচের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাতে স্কুলের পড়ুয়াদের প্রতিদিন ডিম বা অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া সম্ভব নয় বলে মত শিক্ষকদের। অন্যদিকে, এই যৎসামান্য খরচের মধ্যেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। শিক্ষা মহলের একাংশের মতে, মিড-ডে মিলে যদি দুর্নীতি বন্ধ করা যায়, তাহলে এই বরাদ্দেও পড়ুয়াদের কিছু পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সম্ভব।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
স্কুলে স্কুলে বন্ধ হয়ে যাবে মিড-ডে মিল? বিরাট আপডেটে ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষকরা
মিড ডে মিল নিয়ে নয়া নির্দেশিকায় চাপে প্রধান শিক্ষকরা, টাকা দিতে হবে পকেট থেকে
মিড ডে মিল খেতে গিয়ে আচমকা মৃত্যু ছাত্রের! হাসপাতালে যাওয়ার আগেই সব শেষ, কী হল?