এবার সম্মুখ সমরে বিজেপির মিঠুন চক্রবর্তী ও তৃণমূল কংগ্রেসের কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাও আবার ১০০ কোটি টাকার। পাল্টা আদালতে যাওয়ার কথা বললেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, 'দেখা হবে আদালতে।'
26
মামলার কারণ
সংবাদ মাধ্যমে কুণাল ঘোষের মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই মামলা করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। আদালতের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। কুণাল উত্তরও দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের কুণালের উত্তরে মোটেও সন্তুষ্ট হননি বিজেপির মিঠুন। আর সেই কারণেই তিনি মানহানির মামলা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে এই ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলায় মোটেও বিচলিত হননি কুণাল ঘোষ।
36
মিঠুনের অভিযোগ
মিঠুন চক্রবর্তীর অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কুণাল ঘোষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অসত্য ও কুরুচিকর মন্তব্য করছেন। মিঠুনের অভিযোগ, চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলেও কুণাল মন্তব্য করেছেন। মিঠুনের ছেলে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ করেছেন কুণাল। যা সত্য নয়। স্ত্রী বেআইনি আর্থিক লেনদেনে যুক্ত বলেও মন্তব্য করেছিলেন কুণাল। যা মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী মানতে নারাজ। সেই কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
মিঠুন চক্রবর্তী বলেছেন, কুণালের মন্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কুণালের মন্তব্যের কারণে মিঠুনের সম্মান ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে। মিঠুন জানান তিনি রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। পদ্মভূষণ ও দাদাসাহেব ফালকে সম্মান জয়ী। কুণালের এমন সব অসত্য মন্তব্যের জন্য তাঁকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। কুণালের মন্তব্যের কারণে নতুন চলচ্চিত্র এবং বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে। তিনি জানিয়েছেন পেশাগত কারণেও কুণালের মন্তব্যের জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সেই কারণেই ক্ষতিপুরণ হিসেবে ১০০ টাকা দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
56
পাল্টা সওয়াল কুণাল
মিঠুনের মামলা প্রসঙ্গে কুণাল বলেছেন, 'যাঁর মান থাকে তিনি এতবার দলবদল করেন নাকি! কোর্টে দেখা হবে।' কুণাল আরও বলেছেন, তিনি ওঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। চার-পাঁচটি চিটফান্ডের সঙ্গে ওঁর কী সংযোগ ছিল, সেটা তিনি কোর্টে বলবেন। তিনি সিবিআই তদন্ত চাইবেন।
66
৫০ হাজার টাকা দিয়ে মামলা
হাইকোর্টের মামলা দায়ের করতে গেলে কোর্ট ফি দিতে হয়। কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রের খবর মিঠুন এই মামলায় ৫০ হাজার টাকা কোর্ট ফি দিয়েছেন। সাধারণত এটি সর্বোচ্চ কোর্ট ফি হিসেবে ধার্য করা হয়।