সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকার বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে জুন ২৭-এর মধ্যে। তাহলে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র প্রথম কিস্তি কবে দেবে নবান্ন? মিলল বিরাট খবর!
রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য আসছে স্বস্তির হাওয়া। বহু প্রতীক্ষিত বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) অবশেষে মিলতে চলেছে।
212
১৪১ মাসের বকেয়া, লাভবান হবেন ৮ লক্ষ কর্মী-পেনশনভোগী
২০০৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালের জন্য ডিএ বকেয়া রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
312
এই দীর্ঘ ১৪১ মাসের বকেয়ার এক চতুর্থাংশ এবার মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক, পঞ্চায়েত ও পৌর কর্মচারী, সরকারি সংস্থার কর্মী, পেনশনপ্রাপ্ত ও পরিবার পেনশনপ্রাপ্তরা মিলিয়ে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ এই সুযোগের আওতায় পড়বেন।
২০২৫ সালের ১৬ মে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডিএ-র ২৫% কর্মীদের হাতে তুলে দিতে হবে।
512
সেই নির্দেশ মান্য করেই নবান্ন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যেই অর্থ দফতরের তরফে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
612
প্রযুক্তি নির্ভর হিসাবের পদ্ধতি
কর্মীদের কী পরিমাণ বকেয়া প্রাপ্য তা নির্ধারণ করতে রাজ্য সরকার ব্যবহার করছে IFMS (Integrated Financial Management System)।
712
এই সিস্টেমের মাধ্যমে ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রত্যেক কর্মীর হিসাব নির্ধারণ করা হচ্ছে। লক্ষ্য, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যথাযথ অর্থ প্রদান নিশ্চিত করা।
812
পর্যায়ক্রমে মিলবে আরও কিস্তি
এই প্রথম দফার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করা হবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আগামী দিনে আরও কিস্তিতে বকেয়া পরিশোধের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কবে মিলবে পরবর্তী দফা, সে বিষয়ে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
912
কবে দেওয়া হবে প্রথম কিস্তির টাকা?
জুন ২৭-এর মধ্যে ২৫% বকেয়া ডিএ কর্মীদের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হবে।
1012
কত মাসের জন্য বকেয়া ডিএ দেওয়া হচ্ছে?
২০০৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালের মোট ১৪১ মাসের বকেয়া রয়েছে।
1112
কীভাবে হিসাব করা হচ্ছে ডিএ?
IFMS (Integrated Financial Management System)-এর মাধ্যমে কর্মীদের বকেয়ার হিসাব করা হচ্ছে।
1212
পরবর্তী কিস্তির টাকা কবে দেওয়া হবে?
এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে দ্বিতীয় কিস্তির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি, রিপোর্ট জমার পর সিদ্ধান্ত হবে।