আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য একসুরে বাঁধা পড়ল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৮ জানুয়ারি।
শিয়ালদহ কোর্টে চলছে আরজি কর মামলার শুনানি। এদিন আদলতে হাজির ছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। ছিলেন মূল অভিযুক্ত ও ধৃত সঞ্জয় রায়ের আইনজীবীও।
210
বক্তব্য জমা
আরজি কর হত্যাকাণ্ড মামলায় নির্যাতিতার পরিবার ৫৭ পাতার বক্তব্য জমা দিয়েছে। যার সঙ্গে অনেকটাই মিলে যাচ্ছে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবিও।
310
সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি
নির্যাতিতার পরিবার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি আরও তদন্তের প্রয়োজনের কথাও তারা তুলে ধরেছেন।
410
সিবিআই-এর চার্জশিটে দাবি
সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটেও একমাত্র সঞ্জয় রায়কে দোষী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে একই সঙ্গে বলা হয়েছে, অন্য কেউ জড়িত কি না, সেই তদন্ত এখনও চালানো হচ্ছে।
510
নির্যাতিতার পরিবারের বয়ান
শনিবার শিয়ালদহ কোর্টে যে ৫৭ পাতার লিখিত বক্তব্য তারা জমা দিয়েছে সেখানে এই ঘটনার আরও তদন্ত করা হোক বলেও আর্জি জানিয়েছে। তাদের অনুমান এই ঘটনা একা ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের পক্ষে ঘটনা সম্ভব নয়। তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল বলে অনুমান।
610
নির্যাতিতার পরিবারের আর্জি
আরও তদন্ত করা হোক এবং আরও কারা জড়িত, তা খুঁজে বার করে নতুন করে চার্জশিট জমা দেওয়া হোক।
710
আইনজীবীর বক্তব্য
নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীর বক্তব্য, এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত রয়েছেন, তা প্রকাশ্যে আসুক। আর কেউ জড়িত কি না, তা-ও উঠে আসুক তদন্তে। যদিও সিভিক ভলান্টিয়ারের সর্বোচ্চ সাজার আবেদনও জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে।
810
ধৃতের আইনজীবীর বক্তব্য
ধৃতের আইনজীবীর বক্তব্য , পারিপার্শ্বিক যে সাক্ষ্যপ্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে, তাতে সিসিটিভি ফুটেজের যে অংশ দেখা যাচ্ছে, তাতে এক জনের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব না। এর নেপথ্যে অন্য কেউ থাকতে পারেন। ধৃত এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন।
910
পরবর্তী শুনানি
এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৮ জানুয়ারি। সেই দিনও ধৃতের আইনজীবী আর্গুমেন্ট পেশ করবেন।
1010
ধৃত একা সঞ্জয়
আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে নেমে ঘটনার পরদিনই কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল সিভিক ভলান্টিয়ারকে। সেই সিভিক ভলান্টিয়ারেরই বিচার চলছে নিম্ন আদালতে। প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে। তারা দুজনেই জামিন পেয়ে গেছেন।