
শনিবার আর জি কর কাণ্ডে সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত। ঘটনার ১৬২ দিনের মাথায় সেই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হল সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। এদিন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় দাবি করেন সে কিছুই করেনি, এতে অন্যরাও জড়িত। তাদের কেন ধরা হল না? সুদূর দিল্লি থেকে প্রশ্ন তুললেন নির্ভয়ার বাবা। মনে পড়ে গিয়েছে কাঁর মেয়ের দুঃসহ স্মৃতির কথা।
এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্ভয়ার বাবা বলেন, ও নির্দোষ হলে, কোনও দোষ না করলে, যারা দোষ করেছে তাদের নাম কেন বলছে না?
২০১২ সালে দিল্লির চলন্ত বাসে নির্ভয়া ধর্ষণের মামলা কারও অজানা নয়। সে সময় গ্রেফতার হয়েছিল ১ নাবালক সহ ৬। এর মধ্যে বিচার চলাকালীন একজনের মৃত্যু হয়। নাবালককে পাঠানো হয় জুভেনাইল হোমে। আর বাকিদের ফাঁসি হয়। এই ঘটনার ছায়া পড়ে কলকাতায়। ২০২৪ সালে অগস্টে ডিউটিরত অবস্থায় ধর্ষণ ও খুনের শিকার হন এ মহিলা চিকিৎসক। সেই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। সোমবার সাজা ঘোষণা হবে।
এই ঘটনার পর সঞ্জয় রায় বলেন, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে, আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আছে। এই মালা পড়ে আমি এই অপরাধ করব?
এই দাবি শুনে বিশেষ মন্তব্য করলেন নির্ভয়ার বাবা। তিনি বলেন, এখন কেন বলছে? আগে কেন বলেনি? আর যদি বলে যে সে নির্দোষ, তাহলে কারা দোষ করেছে, তাদের নাম তো জানে। সেটা কেন বলছে না? তাছাড়া এখন এসব বলে কী লাভ? আমরা তো দেখেছি কত লোকই তো টাকার বিনিময়ে অন্যের দোষ নিজের কাঁধে নিয়ে নে। সেও এরকম কি না, কে বলতে পারে?
তিনি আরও বলেন, আদালত তো পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট আর সংবাদমাধ্যমের খবরাখবরের ওপর ভিত্তি করে রায় দিয়েছে। নিজেদের বিবেচনা অনুসার তো রায় দেওয়া হয় না।