RG Kar: নিহত তরুণীর পেলভিস বোন কী করে ভাঙল? প্রশ্ন ঠিক কতজন মিলে ধর্ষণ করেছিল সেই রাতে

আরজি কর হাসাপাতালে তরুণী চিকিৎসককে মৃত্যুর আগে ঠিক কতটা যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী মারাত্মক অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে তরুণীকে।

প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী শরীরে ছিল ১১৪টি কামড়ের দাগ। আর পাওয়া গিয়েছে ১৫০ গ্রাম বীর্য।

আরজি কর-কাণ্ডে একাধিক ব্যক্তি ছিল বলে আন্দোলনকারীদের দাবি। তেমনই দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। কিন্তু পুলিশ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একজনই গ্রেফতার করেছে। সিবিআই নতুন করে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। কিন্তু অনুমান একাধিক ব্যক্তি জড়িত। না হলে ১৫০ গ্রাম বীর্য মহিলার শরীর থেকে পাওয়া যেত না।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছে আরজি করের চিকিৎসক তরুণীকে সেই রাতে প্রায় ২০ জন মিলে ধর্ষণ করেছে। তাতেই ভেঙে গেছে মহিলার পেলভিস বোন।

পেলভিস বোন- মানবদেহের অন্যতম শক্তিশালী হাড়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় পেলভিক গার্ডেল। নিহত তরুণীর এই শক্তপোক্ত হাড়ই ছিল ভাঙা। তাইতেই মনে করা হয়েছে চরম অত্যাচার করা হয়েছে।

পেলভিস বোন দেখতে অনেকটা রিং বা গোলাকৃতির। এটি অনেকটা খাঁচার মত। দেশের ওপরের অংশ ও নিচের অংশকে যুক্ত করেছে।

পেলভিস বোন শক্ত হয়, একজন মানুষের ওজন যদি ৭০ কেজি হয় তাহলে দেশের নিচের অংশের ওজন হবে ১৫ কেজি। বাকিটা অর্থাৎ ৫৫ কেজি হবে ওপরের অংশের ওজন। হাটাচলার সময় পুরো ওজনই বহন করে পেলভিস বোন।

চিকিৎসকদের কথায় মহিলাদের পেলভিস বোন অনেক শক্ত হয়। কারণ গর্ভধারনের সময় যে কোনও মহিলাকে ৪-৫ কেজি বাড়তি ওজন বহন করতে হয়। গোটা চাপই ধরে রাখে পেলভিস বোন।

চিকিৎসকের কথায় অত্য়াধিক চাপ পড়লে তবেই এই হাড় ভাঙে। যৌন সম্পর্কের সময়ও এই হাড় অনেকটা বেশি ভার বজায় রাখে। তাই একজন ব্যক্তি যদি ধর্ষণ করে তাহলে এই হাড় ভাঙতে পারে না বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

চিকিৎসকদের কথায় দুর্ঘটনায় ভাঙে যেতে পারে পেলভিস বোন। তাও টুকরো টুকরো হওয়ার নজির খুব কম। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ যদি ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করে তাহলে ভাঙে এই শক্ত হাড়।

সেই রাতে হাসপাতালে অনেক মানুষ ছিলেন। কিন্তু সেমিনার হল থেকে কেউ কোনও আওয়াজ পায়নি? যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে কি মহিলাকে অচৈতন্য করে একের পর এক ধর্ষণ করা হয়েছিল? কারা যুক্ত ছিল এই কুকর্মে? ঘটনার পর এক সপ্তাহ পার হয়েছে এখনও স্পষ্ট কোনও উত্তর নেই।