
Kolkata Crime News: শহরে ফের প্রতারণা। ব্যাহ্ক জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ৬২ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। জানা গিয়েছে, কলকাতার এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে Sec G কেস নম্বর ৯২/২০২৫ নম্বরে একটি প্রতারণার মামলা রুজু করা হয়। অভিযোগ, জাল বেতন স্লিপ, জাল ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সহ ভুয়ো নথি জমা দিয়ে ছয়টি পার্সোনাল লোন তোলা হয়েছিল, এবং ঋণগ্রহীতারা নিজেদেরকে সেচ, স্বাস্থ্য ও বন দফতরের কর্মী পরিচয় দিয়েছিল।
মোট ৬২ লক্ষ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত একটি চক্র মূলত বাঁকুড়া ও বর্ধমান এলাকা থেকে এই অপারেশন চালাতো। এই কাজের সুবিধার জন্য তারা ব্যাঙ্কের নিযুক্ত কিছু DSA (Direct Selling Agent)-র সহায়তা নেয়। মঙ্গলবার রাতে বাঁকুড়ার সোনামুখী এলাকা থেকে আকাশ ধীবর নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম আকাশ ধীবর (২৮)। লালবাজার, সোনামুখী, বাঁকুড়ার বাসিন্দা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আকাশ জাল নথি বানানোর মূল কারিগর এবং তার অ্যাকাউন্টে প্রতারিত অর্থের মধ্যে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। আকাশকে বুধবার কলকাতার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (CJM)-এর আদালতে পেশ করা হয়েছে পুলিশ হেফাজতের আবেদন নিয়ে।পুলিশ জানিয়েছে, অন্যান্য অভিযুক্ত পলাতক। তাদের খোঁজে আরও অভিযান চলবে।
অন্যদিকে, শিলিগুড়িতে ফের বড়সড় এটিএম লুট। এবার ঘটনাস্থল ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন ঢাকেশ্বরী কালী মন্দির এলাকা। শনিবার ভোররাতে (প্রায় ৩:৩০ থেকে ৪টার মধ্যে) একদল দুষ্কৃতী ট্যাক্সি নম্বরের সাদা রঙের একটি টাটা সুমো গাড়ি করে এসে এসবিআই-এর এটিএম লুট করে চম্পট দেয়।
ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছান ভক্তিনগর থানার আইসি এবং শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসিপি (ইস্ট) রাকেশ সিং। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রায় ২০ লক্ষ টাকা লুট হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ব্যাংকের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও হিসেব জমা দেওয়া হয়নি।
জানা গিয়েছে, এটিএমের পাশেই একটি ফাঁকা জায়গায় টাটা সুমো গাড়িটি দাঁড় করিয়ে অপারেশন চালায় দুষ্কৃতীরা। লুটের আগে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিতে স্প্রে করে দেয় তারা, যাতে কোনও ফুটেজ না ওঠে। অপারেশনের সময় প্রত্যেকের মুখে ছিল গামছা বাঁধা। লুটপাট চলাকালীন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশের একটি গাড়ি। তখনই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও গাড়ি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একটি দুষ্কৃতীকে ফেলে গাড়ি চলে গেলেও পরে গাড়িটি ফিরে এসে তাকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ভুয়ো নম্বরপ্লেট লাগানো টাটা সুমো গাড়ি উদ্ধার হয়েছে।
সূত্রের দাবি, এই অপারেশনে আরেকটি ইনোভা গাড়িও ব্যবহৃত হয়েছে। লুটপাটের সময় এটিএমে আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে ফুলবাড়ি দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আসিঘর আউটপোস্ট থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে এই লুটের ঘটনায় বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ডিসিপি (ইস্ট) রাকেশ সিং জানিয়েছেন, “দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা চলছে। পুলিশের টিম তাড়া করেছিল। বিভিন্ন জেলার পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে।” ১৩ জুন ময়নাগুড়িতে এটিএম লুট, লুট হয় ৫৪ লক্ষ টাকা। ১৮ জুন শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানা এলাকায় এটিএম লুট, লুট হয় ১১ লক্ষ টাকা। ২২ জুনশিলিগুড়ির বিধান জুয়েলারিতে ২২ কোটি টাকার স্বর্ণালংকার লুট। ২৩ জুলাই ফের শিলিগুড়িতে এটিএম লুট, আনুমানিক লুটের পরিমাণ ২০ লক্ষ টাকা। এক মাসের মধ্যে একের পর এক লুটের ঘটনায় আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। এখন বড় প্রশ্ন—শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরতে আদৌ সফল হবে কি?
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।