Election Commission: মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরকে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে জোর, সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ স্পিকার

Published : Jul 23, 2025, 03:25 PM IST
election commission

সংক্ষিপ্ত

Election Commission News: নির্বাচন কমিশনের উপর রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রনাধিকার ইস্যুতে এবার সরব হলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন। 

 Election Commission: সিইওর ওপর রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রনাধিকার ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘’রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের টাকায় মাইনে পায়। রাজ্য সরকার নিয়োগ করে। অথচ রাজ্য সরকারের ওদের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না, এটা হতে পারে না। বিতর্কিত বিষয়। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।''

এদিকে মঙ্গলবার রাতেই নির্বাচন কমিশনের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারকে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরকে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে জোর। পশ্চিমবঙ্গে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের (CEO) দফতরের আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ECI)। কমিশনের তরফে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর বর্তমানে পর্যাপ্ত আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত, যা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে অন্তরায় হতে পারে।

কমিশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, CEO দফতর বর্তমানে হোম অ্যান্ড হিল অ্যাফেয়ার্স দফতরের অধীনস্থ একটি শাখা হিসেবে কাজ করছে। যেখানে আর্থিক ক্ষমতা সীমিত এবং স্থায়ী বরাদ্দের পরিবর্তে অস্থায়ী অগ্রিম অর্থের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক নিজে হলেও, প্রশাসনিক ক্ষমতায় তিনি একজন অধস্তন আধিকারিকের পর্যায়েই রয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে—

১. একটি পৃথক নির্বাচন দফতর গঠন। যা রাজ্য সরকারের অন্য কোনও দফতরের অধীন থাকবে না। এই দফতরের জন্য পৃথক বাজেট হেড রাখতে হবে, যাতে CEO নিজস্ব আর্থিক ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

২. ACS বা Principal Secretary পর্যায়ে আর্থিক ক্ষমতা CEO-কে প্রদান করা, যাতে দফতরের কার্যকারিতা ও নিরপেক্ষতা বজায় থাকে।

৩. CEO-কে সহযোগিতা করতে একজন আর্থিক উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।

এছাড়া, আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে কমিশন চারটি শূন্য পদ—Additional, Joint ও Deputy CEO—অবিলম্বে পূরণ করার জন্য রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ নির্মাণের হুমকি হুমায়ুন কবীরের, হস্তক্ষেপে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট
বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন হুমায়ুন কবীর, রাজভবনে বিশেষ সেল চালু রাজ্যপালের