তিলজলায় ৭ বছরের ওই শিশুকে খুনের আগে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। যৌন নির্যাতনের পর খুন করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে অভিযুক্ত, দাবি পুলিশের।
পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল, এবার ট্রেন অবরোধে নেমে পড়লেন তিলজলার সাধারণ মানুষ। নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনার জেরে ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হচ্ছে এলাকার পরিস্থিতি। শেষ পাওয়া খবরে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন আটকে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় মানুষ।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, রবিবার রাতে তিলজলা থানা এলাকায় ভাঙচুরের অভিযোগে আটক তিন স্থানীয়কে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া তিন জনের মধ্যে এক জন মহিলাও রয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে ওই তিন স্থানীয়কে মুক্তি দিতে হবে। যতক্ষণ না ওই তিন স্থানীয়কে ছেড়ে দেওয়া হবে, ততক্ষণ এই অবরোধ চলবে বলেও হুমকি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা।
এদিকে, তিলজলায় ৭ বছরের ওই শিশুকে খুনের আগে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। যৌন নির্যাতনের পর খুন করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে অভিযুক্ত, দাবি পুলিশের। ধৃতের বিরুদ্ধে অপহরণ, খুন ছাড়াও পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ অভিযোগ পাওয়ার পরই শিশুর খোঁজ শুরু হয়। মূল অভিযুক্তের আবাসনের ৩২টি ফ্ল্যাটে শিশুর খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালায় তারা। অলোকের ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় সেখান থেকেই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল ৮টা থেকে নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা। বেলা ১২টায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার, দাবি পুলিশের। তাদের দাবি, সিসিটিভিতে পাশের বাড়িতে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল নাবালিকাকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তল্লাশির পরে ওই নাবালিকার খোঁজ পায়নি পুলিশ। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা, এমনও অভিযোগ উঠেছে। পরে পাশের বিল্ডিংয়ের ১টি তালাবন্ধ ফ্ল্যাটে স্যুটকেসের ভিতরে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহ।
তিলজলায় শিশুকে যৌন নির্যাতনের পর খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অলোক কুমারকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, সন্তান লাভের আশায় তান্ত্রিকের কথা শুনে ওই সাত বছরের শিশুকে খুন করেছেন নিঃসন্তান আলোক। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তান্ত্রিককে ধরতেও বিহারে কলকাতা পুলিশের একটি দল পাঠানো হতে পারে।
পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। রবিবার রাতেও তিলজলা থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, রবিবার সকাল থেকে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। পুলিশ তৎপরতা দেখালে শিশুটিকে বাঁচানো যেত বলেও দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।