
Kolkata Police Death News: শহরে আত্মঘাতী পুলিশ কর্মী। বাড়ির ভিতর থেকে মিলল ঝুলন্ত পচাগলা দেহ। অথচ টেরই পেলো না কেউ! এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার বডিগার্ড লাইন্স এলাকার একটি বাড়িতে। আদতে পুরুলিয়ার মানবাজারের পেদ্দা হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই পুলিশ কর্মী। মৃতের নাম-সুখলাল মুর্মু।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই পুলিশ কর্মী কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটলিয়নে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি চতুর্থ ব্যাটেলিয়ন থেকে তৃতীয় ব্যাটেলিয়নে স্থানান্তরিত হন। গত ২৬ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন সুখলাল মুর্মু। তাঁর খোঁজ পেতে নিখোঁজ ডায়েরিও দায়ের হয় থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই পুলিশ কর্মী।
বুধবার রাতে কলকাতা পুলিশের বডিগার্ড লাইনে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার তার। জানা গিয়েছে, একটি বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলার জানালা দিয়ে দেখা যায় গামছার মাধ্যমে একজন পুরুষ আংশিক পচা অবস্থায় ঝুলন্ত অবস্থায় ঝুলছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ। তারপর ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে ওই পুলিশ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। তার লাগেজ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে বোঝা যায় যে, দুর্ঘটনায় বাম হাতে আঘাতের কারণে হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
অন্যদিকে, রনডিহা জলাধারে তলিয়ে যাওয়া ৩ যুবকের মধ্যে ২ জনের দেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ থাকা অপর জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর । জানা গিয়েছে, দামোদর নদের উপর থাকা রনডিহা জলাধারে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যাওয়া তিন যুবকের মধ্যে দুই যুবকের দেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এখনও পর্যন্ত তৃতীয় যুবকের কোনও খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ থাকা যুবকের খোঁজে জলাধারে তল্লাশি চালাচ্ছে রেখেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার দামোদর নদের রণডিহা জলাধারে স্নান করতে নামে কাঁকসা এলাকার সাত যুবক। জলের স্রোতে সাতজনই তলিয়ে যায়। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা দ্রুত উদ্ধার কাজে নেমে ৪ জনকে উদ্ধার করে। অপর ৩ জন জলের গভীরে তলিয়ে যাওয়ায় তাদের উদ্ধার করতে পারেননি মৎস্যজীবী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে বাঁকুড়ার সোনামুখী ও পুর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানার পুলিশ চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়।
তলব করা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বুধবার বিকালে জলাধারে তল্লাশি শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বুধবার সন্ধ্যায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জিতু অধিকারী নামের এক নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার জলাধারের জল থেকে উদ্ধার হয় অভিজিৎ গাইন নামের অপর এক যুবকের দেহ। বুধবার থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর লাগাতার তল্লাশিতে এই ২ জনের দেহ উদ্ধার হলেও এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ সুরজিৎ বিস্বাসের কোনও খোঁজ মেলেনি। তার সন্ধানে রনডিহা জলাধারে তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।