Pravasi Rajasthani Meet Kolkata: কলকাতায় অভিনব কর্মসূচি। মঙ্গলবার, শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে হয়ে গেল ‘প্রবাসী রাজস্থানি মিট'। মূলত কলকাতায়, রাজস্থান থেকে এসে যে সমস্ত মানুষরা চাকরি, ব্যবসা বা জীবিকা নির্বাহ করছেন, তাদেরকে নিয়েই একটি ট্রাস্টি বোর্ড রয়েছে। সেইসঙ্গে, রাজস্থান সরকারের যৌথ উদ্যোগে এই সামিটটি অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা, সেই রাজ্যের নগরন্নোয়ন মন্ত্রী ঝাবার সিং খাররা এবং আরপিএসজি গ্রুপের তরফে শাশ্বত গোয়েঙ্কা সহ বিশিষ্ট আরও অনেকে। রাজস্থানের শিক্ষার অগ্রগতিকে মাথায় রেখে সেখানে স্কুল তৈরি এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য যাতে কলকাতায় বসবাসকারী রাজস্থানের মানুষরা আরও বেশি করে বিনিয়োগ করেন, সেইসব কথা তুলে ধরা হয়।
রাজস্থানের সঙ্গে তাদের যে নাড়ির টান রয়েছে, সেই বিষয়গুলিও উঠে আসে। শিল্প, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা এবং নানা ক্ষেত্রে সেই রাজ্য এগিয়ে চলেছে তথা শিল্পপতিদের বিপুল বিনিয়োগ রাজস্থানকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ভজন লাল শর্মার কথায়, “আমাদের রাজস্থান এখন দেশের মধ্যে অন্যতম একটি সেরা বিনিয়োগের জায়গা। একাধিক হাইওয়ে তৈরি হয়েছে। গোটা দেশের সঙ্গে আমাদের রাজস্থান আজ যুক্ত। প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন দেখেছেন, তা আমরা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগোচ্ছি। রাজ্যের বিকাশ হচ্ছে সর্বত্র। সোলার শিল্পেও আমরা অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছি। কৃষকদের ঘরে ঘরে পৌঁছেছে আলো। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত জমি রয়েছে। আপনারা আসুন, বিনিয়োগ করুন। তৈরি হয়েছে হাসপাতাল। আর আমাদের প্রবাসী ভাইবোনদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সেইজন্য রাজ্য সরকার সবসময় আপনাদের পাশে আছে।"
নিঃসন্দেহে এই মুহূর্তে, ইনভেস্টর ফ্রেন্ডলি পরিবেশ রয়েছে সেখানে। সেইসঙ্গে, বিনিয়োগের জন্য রয়েছে একাধিক ক্ষেত্র। গোটা রাজ্যে শিল্পে অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। ব্যবসা ভালো হচ্ছে। আর তাই ‘রাইসিং রাজস্থান' নামে বিশেষ প্রোজেক্টও লঞ্চ করেছে সেই রাজ্যের সরকার। এই কথাও উঠে এল আলোচনায়। এমনকি, রাজস্থানে অনুষ্ঠিত হওয়া ‘গ্লোবাল বিজনেস সামিট' থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ৩৫ লক্ষ কোটি টাকার মৌ-চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যার মধ্যে ৭ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
ফলে, তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান এবং শিল্পপতিদের তরফ থেকে আসছে একের পর এক বিনিয়োগ। অন্যদিকে, রাজস্থানের নগরন্নোয়ন মন্ত্রী ঝাবার সিং খাররা সাংবাদিকদের বলেন, “বিহার সহ দেশের সমস্ত রাজ্যে এসআইআর হবে। অনেকে অনেকরকম কথা বলেছিল, মামলা করেছিল। কিন্তু শেষমেশ মানতে সবাই বাধ্য। আসলে দেশের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর চালু করেছে। আগামীদিনের ভারতের বাকি রাজ্যগুলিতেও হবে। যে সমস্ত রাজনৈতিক দল ভুয়ো ভোটারদের উপর নির্ভর করে জয়লাভ করে। যে ভোটাররা ভুয়ো নথি বানিয়ে ভোট দেয়, এই দেশে থাকে। তাদের নিয়ে সেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের চিন্তা আছে। তাই এসআইআর হবেই।"
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।