Student Death: কসবার স্কুলে মৃত ছাত্রের দেহ নিয়ে বিক্ষোভ, রাতেই থানা ঘেরাও- রাস্তা অবরোধ

নিহত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ,ঘটনার পরই কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ নিস্ক্রীয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

 

Saborni Mitra | Published : Sep 5, 2023 6:01 PM IST

ছাত্রমৃ্ত্যুর ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা কসবা এলাকা। মৃত ছাত্রের দেহ নিয়ে পরিবার ও আত্মীয়দের বিক্ষোভ কসবা থানার সামনে। রাস্তা অবরোধ করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে এলাকার মানুষ। দেহ ময়নাতদন্ত করে আনার পরই মৃত ছাত্রের আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যরা থানার সামনে রাস্তা আটকে অবরোধে বসে পড়েন। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে নিহতের আত্মীয়রা। কসবা থানার সামনে দুটি রাস্তাতেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

নিহত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ,ঘটনার পরই কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ নিস্ক্রীয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রের ময়নাতদন্ত হয়ে যাওয়ার পরই পরিবারের সদস্যরা দেহ নিয়ে কসবা থানার সামনে জড়ো হয় তারপরই তারা বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করে। আটটার কিছু পরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। রাত ১০টারও পরে পর্যন্ত বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা এলাকার যান চলাচল।

কসবা থানার সামনে অবরোধের জেরে বিজন সেতু পর্যন্ত যান চলাচল ব্যবহত হয়। রুবি থেকে রাসবিহারীর রাস্তার একাংশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। দিনের শেষে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয় পথ চলতি মানুষদের।

'হিন্দু ধর্মের জম্ম কোথায়?', শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করে বিতর্কে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সোমবার দুপুরে কসবার রথতলা সিলভার পয়েস্ট হাইস্কুলে ছাত্রের অস্বাভিবক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরিবারের অভিযোগ প্রজেক্ট জমা দিতে না পারায় শিক্ষক ছাত্রের ওপর মানসিক চাপ দিচ্ছিল। তাতেই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছ দুর্ঘটনার পরেই ছাত্রকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

Abhijit Gangopadhyay: 'বিপ্লব দীর্ঘজীবী হতেই হবে', আদালতে বসে কেন এই কথা বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

দশম শ্রেণীর নিহত ছাত্রের বাবা জানিয়েছেন এদিন প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর ছেলে প্রজেক্ট শেষ করতে পারেনি। প্রজেক্ট জমা দিতে পারেনি। সেই কারণে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক তাকে বকাবকি করে। কান ধরেও সকেলের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখে। ক্লাসের মধ্যেই তাঁর ছেলে হেনস্থার শিকার হয়। তাতেই নিশ্চিয়ই অপমানিত বোধ করছিল ছাত্র। তবে তাঁর ছেলে কীভাবে পড়ে গেল সে সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন বলেও জানিয়েছেন।

Bharat Vs India: দেশের নাম পরিবর্তন নিয়ে মমতা ও শুভেন্দু কী বললেন? ইন্ডিয়া বনাম ভারত- নতুন বিতর্ক

স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্কুলের নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন নিহত ছাত্রের বাবা। নিহত ছাত্রের বাবা আরও জানিয়েছেন, করোনা-কালে স্কুল ফি কমানোর জন্য তিনি সরব হয়েছিলেন। অভিভাবকদের জড়ো করে আন্দোলনও করেছিলেন। তাতে ৩৩ শতাংশ ফি কমাতে বাধ্য হয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁকে ও বিশেষ করে তাঁর ছেলে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছিল। তাতেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলেও মনে করছেন। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ এখনও এই বিষয়ে কিছুই বলেনি।

 

Share this article
click me!