RG Kar-কাণ্ডে ক্রাইম সিন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল, CBIকে ১২ পাতার রিপোর্ট

কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার রুমে গত ৮ অগাস্ট উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের নিথর দেহ। এই ঘটনার পর কেটে গেছে চার মাসেরও বেশি সময়। কিন্তু এখনও রহস্যের সমাধান করতে পারেনি।

ঘটনার প্রায় চার মাস পরে সিবিআই হকে পেল কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলের রিপোর্ট। যা প্রকাশ্যে আসার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আবার কি নতুন করে শুরু করতে হবে আরজি কর তদন্ত।

আরজি করের সেমিনার রুম নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলের রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে আরজি করের সেমিনার রুম, যেখান থেকে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানে নাকি নির্যাতিতার সঙ্গে কিছুই ঘটেনি।

সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল আরজি কর-কাণ্ডে ১২ পাতার রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে সেমিনার রুম ক্রাইম সিন নয়।

সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেমিনার রুমে নির্যাতিতার সঙ্গে ধস্তাধস্তির কোনও প্রমাণ নেই। তাই সেমিনার রুম ক্রাইম সিন নয় বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।

কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলের এই রিপোর্টের পরই ক্রাইম সিন বদলের তত্ত্ব আরও জোরাল হয়েছে। কারণ তদন্তের শুরুতে সিবিআই-এর দাবি করেছিল ঘটনার ক্রাইম সিন বদল করা হয়েছে বা ক্রাইম সিনের চরিত্র বদল করা হয়েছে। আদালতেও একই দাবি করেছিল সিবিআই।

কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলের রিপোর্টের পরই স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে কেন বদল করা হল ক্রাইম সিন, কাদের আড়াল করতে এই কাণ্ড।

পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে একটি খুন ও ধর্ষণের ঘটনার ক্রাইম সিন বদল কিন্তু সোজা কথা নয়। তাও আবার আরজি করের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে। তাই এই ঘটনায় কোনও প্রভাবশালীর হাত থাকতে পারে কিনা তাই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

আরজি কর কাণ্ডে তদন্তের জন্য গত ১৪ অগাস্ট হাসপাতালে যায় কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলের সদস্যরা। তিন ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ধরে তথ্য সংগ্রহ করে। সেমিনার রুমের পাশাপাশি করিডোর আর লিফট- সর্বত্রই খতিয়ে দেখেছিল। তারপরই এই রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল।

আরজি কর কাণ্ডে শুধুমাত্র ম্যাট্রেসে মাথা আর পেটের নিচের রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই এই দেখে প্রাথমিকভাবে অনুমান করেছিল ক্রাইম সিনের চরিত্র বদল করা হয়েছে।