রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোনও দলে গেলে তাঁর সেখানে মানিয়ে নিতে কষ্ট হবে। শোভনের সঙ্গে ২২ বছর ঘর করেছেন বলেও জানিয়েছেন।
২১ জুলাইয়ের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার জল্পনা জোরদার হচ্ছে। এবার শোভনে চট্টোপাধ্যায়ের দলে ফেরার জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন তাঁর স্ত্রী রত্না বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁরা এখন আর একসঙ্গে থাকেন না। খাতায় কলমে স্বামী-স্ত্রী হলেও তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। কিন্তু দাম্পত্য আইনি জটে আটকে থাকলেও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দলে ফেরার প্রসঙ্গে যথেষ্ট নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন তাঁর স্ত্রী রত্না। বর্তমানে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। আবর কাউন্সিলরও। যদিও দিন কয়েক আগেও শোভনের দলে ফেরার প্রসঙ্গে কিছুটা হলেও কটাক্ষের সুর ছিল তাঁর গলায়।
রত্না চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যঃ
একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোনও দলে গেলে তাঁর সেখানে মানিয়ে নিতে কষ্ট হবে। শোভন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম থেকেই ছিলেন। ওনার জন্য রাজনীতি ছাড়া আর অন্য কিছু তৈরি হয়নি। রত্না আরও জানিয়েছেন, তিনি শোভনের সঙ্গে তিনি ২২ বছর ঘর সংসার করেছেন, তাই তিনি শোভনকে খুব ভাল করে চেনেন। সেই সূত্র ধরেই রত্না করেন, রাজনীতি ছাড়া অন্য কিছু করতে পারেন না। রাজনীতি ওনার একমাত্র জায়গা। রত্না আরও বলেন, শোভনবাবু যদি মনে করেন রাজনীতি করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনীতি করবেন- তাহলে ওঁর সেটাই ঠিক করে করা উচিৎ। রত্না আরও বলেন, শোভনবাবু যদি মনে করেন তিনি ফিরে আসবেন তাহলে তার ফিরে আসা উচিৎ। তবে রত্না জানিয়েছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের উচিৎ মন দিয়ে রাজনীতি করা।
দিন কয়েক আগে রত্নার মন্তব্যঃ
'তিনি নিজেই দল ছেড়েছিলেন। এবার চাইলে নিজেই ফিরতে পারেন।' পাশাপাশি রত্না বলেছেন, 'ওনাকে কেউ রাজনীতি ছাড়তে বাধ্য করেননি। উনি নিজের ইচ্ছেয় গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ে সৎমা বানিয়েছেন। আর অভিষেককে সোনার গোপাল বানিয়েছেন বিজেপিতে যাওয়ার পরে। তারপর আবার যদি ওনার মনে হয় তৃণমূল ওনার নিজের পরিবার, সৎমা আবার মা গিয়েছেন। সোনার গোপাল অভিষেক এখন আবার ম্যাচিওর হয়ে গিয়েছে, রাজনীতি করবেন।' তবে এখানেই থামেননি রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি শোভন- বৈশাখীর পুরন কথাও তুলে আনেন। বলেন, এতটা সময় তাঁরা বলেছিলেন রত্নার সঙ্গে একই মঞ্চে রাজনীতি করা যায় না। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে রত্না বলেন, 'এখন যদি মনে হয়, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক মঞ্চ শেয়ার করা যায় তাহলে আসবেন। আমি রাজনীতি ছাড়ছি না। বৈশাখীদেবীকে নিয়ে বিজেপিতে গিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কী হাল হয়েছিল, উনি খুব ভাল করেই জানেন।' তবে রত্না আরও বলেছেন, তৃণমূলে যদি শোভন একাই আসেন তাহলেই তিনি ভাল করে রাজনীতি করতে পারবেন। এই কথায় তিনি বৈশাখীকেও নিশানা করেন। বলেন, 'শোভন যেকানেই যাবেন বৈশাখীও পিছনে গিয়ে বসে পড়বেন। আমি তো মানব না , আমার পক্ষে মানা সম্ভব নয়। উনি রাজনীতির র বোঝেন না। রাজনীতিতে ওবার কোনও অবদান নেই। '