এদিকে বাইরে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। তউ অবস্থানে অনড় কর্মীরা। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ধর্না চলছে চাকরি প্রার্থীদের।
দুর্গাপুজো থেকে বড়দিন, ধর্না মঞ্চেই কেটেছিল ওঁদের একের পর এক উৎসব। গোটা শহর যখন নতুন বছরকে বরণ করতে ব্যাস্ত তখনও অধিকারের দাবিতে আন্দোলনে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা। বছর ঘুরে গেলেও মিলল না হকের চাকরি। ধর্নামঞ্চেই নববর্ষ পালন করল আন্দোলনকারীরা। নতুন জামা পড়ে মাতঙ্গিনী হজরার মূর্তির পাদদেশেই আয়োজিত হল প্রতীকী পুজোর। পয়লা বৈশাখেও পাশে নেই পরিবার। পরিজনদের ছেড়ে চলছে লড়াই। এদিকে বাইরে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। তউ অবস্থানে অনড় কর্মীরা। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ধর্না চলছে চাকরি প্রার্থীদের।
আর পাঁচ দিনের মতো একই দৃশ্য দেখা গেল মাতঙ্গিনী হজরার মূর্তির পাদদেশে। পরিবার পরিজন ছেড়ে ধর্নামঞ্চেই বছরের প্রথম দিন কাটল আন্দোলনকারীদের। প্রতিদিনের মতোই আজও গান, স্লোগান শোনা গেল মাতঙ্গিনী হজরার মূর্তির নীচ থেকে। নেই বর্ষবরণের আনন্দ, নেই পরিবারের হাতে নতুন জামা তুলে দেওয়ার উপায়। এদিন মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নীচে লক্ষ্মী-গণেশ পুজোর আয়োজন করেন চাকরিপ্রার্থীরা। করা হয় প্রতীকী পুজাও। যেখানে নতুন বছরের প্রথম দিন পরিবারের সঙ্গে কাটানোর কথা সেখানে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় দিন কাটছে ওঁদের। শীত গৃষ্ম বর্ষা মাথায় নিয়ে আজ ৭৬০ দিন ধরে ধর্নায় শয় শয় চাকরিপ্রার্থী।
প্রসঙ্গত, এর আগে দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজোতেও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে। চাকরির দাবিতে ধর্নায় প্রাথমিক ও SSC-এর চাকরিপ্রার্থীরা। পাশেই দুর্নীতির প্রতিবাদে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিবাদ মঞ্চ। ঝলমলে আলোয় আলোকিত গোটা শহর, দুর্গাপুজো থেকে পয়লা বৈশাখ পেরোলেও সুখ এল না ওঁদের জীবনে। কিন্তু এত আলোর মধ্যেও অন্ধকারে থেকে গিয়েছে ওঁদের জীবন। টানা ৭৬০ দিন অবস্থান বিক্ষোভের পরেও ন্যায় বিচার পায়নি চাকরিপ্রার্থীরা। হকের চাকরির দাবিতে দিনের পর দিন ধর্নামঞ্চে তাঁরা। আর কতদিন এভাবেই হকের চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে চাকরি প্রার্থীদের?
আরও পড়ুন -
পুরনো গ্লানি ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত, মহানগরীর বুকে মহাসমারহে বর্ষবরণ
নববর্ষের প্রাক্কালে রাজ্যবাসীকে 'শুভনন্দন' জানালেন মুখ্যমন্ত্রী, দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিলেন অমিত শাহ
'বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিক আচার্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই', ফের ব্রাত্যর নিশানায় রাজ্যপাল