শুরু হতে চলেছে বিদ্যাসাগর সেতু মেরামতির কাজ, যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে

Published : May 18, 2025, 07:05 PM IST
kolkata winter weather fog

সংক্ষিপ্ত

Vidyasagar Setu: আগামী মাস থেকে শুরু হতে চলেছে বিদ্যাসাগর সেতু মেরামতের কাজ। মেরামতের সময় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

Vidyasagar Setu: আগামী মাস থেকেই শুরু হতে চলেছে কলকাতার ব্যস্ততম সেতু, বিদ্যাসাগর সেতু মেরামতের কাজ। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বভার নিচ্ছে। যান চলাচলে বড় কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্য অধিকাংশ কাজ রাতের বেলাতেই সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

১৯৯২ সালের অক্টোবর মাসে উদ্বোধন হওয়ার পর দ্বিতীয় হুগলী ব্রিজ বা বিদ্যাসাগর সেতু কলকাতা ও হাওড়া শহরের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ ও যানবাহন এই সেতু ব্যবহার করে, ফলে যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সেতুর দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতেই এই মেরামতের উদ্যোগ। নবান্নে রাজ্য প্রশাসনের দফতর স্থানান্তরের পর সেতুটির গুরুত্ব অনেকটাই বেড়েছে। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা মনে করছেন, সেতুর কার্যকারিতা ও স্থায়িত্ব বজায় রাখতে সংস্কার এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

সেতু মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ হতে প্রায় ১৫ মাস সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেশিরভাগ সংস্করণের কাজই রাতের বেলা সম্পন্ন করতে হবে বলে নির্দেশ যাতে সকালে অফিস যাত্রীদের যাতায়াতে কোনো অসুবিধা না হয়। মেরামতের সময় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন হবে। আগে থেকে খেয়াল করে পরিকল্পনার প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে ট্রাফিক পুলিশের কাজে সহায়তা করার অনুরোধ করছে প্রশাসন।

যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ না করে, একটিমাত্র লেন সাময়িকভাবে বন্ধ রেখে ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। যদিও কিছু নির্দিষ্ট দিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার জন্য বিশেষভাবে একটি লেন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে, তবে এ নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি।

সরকার সূত্রে খবর, একটি অভিজ্ঞ জার্মান সংস্থা যা কলকাতারই একটি সংস্থার সাথে যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বভার নিয়েছে। প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাছাকাছি মূল্য ব্যয় করা হচ্ছে এই প্রকল্পের জন্য। এই প্রকল্প সফল হলে, ভবিষ্যতে সেতুর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব অনেকাংশে নিশ্চিত হবে বলে মনে করেণ বিশেষজ্ঞ মহল।

কীভাবে কাজ হতে পারে?

সেতু মেরামতের ক্ষেত্রে প্রথমেই দুর্বল হয়ে পড়া ‘স্টে কেব্‌ল’গুলো প্রতিস্থাপন করা হবে, ২০টি নতুন 'স্টে কেবল' লাগানো হবে। এই কেবলগুলো সেতুর ভারসাম্য বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এগুলিই সেতুটিকে ওপরের দিকে টেনে কাঠামোর ভারসাম্য রক্ষা করে। এরপর ধাপে ধাপে শুরু হবে ‘বিয়ারিং’ বদলের কাজ। এই বিয়ারিংও সেতুর মূল ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে থাকে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ নির্মাণের হুমকি হুমায়ুন কবীরের, হস্তক্ষেপে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট
বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন হুমায়ুন কবীর, রাজভবনে বিশেষ সেল চালু রাজ্যপালের