কেন আরজি করে চিকিৎসক খুন? দেড় মাসে ৪০ জনকে জেরার পরেও এই প্রশ্নের উত্তর অধরা CBI-এর কাছে
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে গত ৯ আগস্ট উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের রক্তাক্ত দেহ। তারপরে কেটে গেছে এক মাস। এখন খুনের মোটিভ নিয়ে বিভ্রান্ত সিবিআই।
Saborni Mitra | Published : Sep 24, 2024 12:00 PM IST
আরজি কর হত্য়াকাণ্ড
গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের রক্তাক্ত দেহ। প্রথমে ঘটনার তদন্ত করে কলকাতা পুলিশ।
হাইকোর্টের নির্দেশ
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ গত ১৫ আগস্ট থেকে আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত যায় সিবিআই-এর হাতে।
কলকাতা পুলিশ পথ দেখাচ্ছে
সিবিআই- সূত্রের খবর কলকাতা পুলিশের দেখান পথেই এখনও পর্যন্ত তদন্ত করছে সিবিআই। খুব দ্রুত এই ঘটনার চার্জশিট দাখিল করতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
৬০ দিনে চার্জশিট
আইন অনুযায়ী ধর্ষণ খুনের মত ঘটনায় ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করতে হয়। সেই ভক্ষেত্র অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই সিবিআইকে চার্জশিট দাখিল করতে হবে শিয়ালদহ আদালতে।
ধোঁয়াশা যেখানে
আগেই সিবিআই জানিয়েছিল ক্রাইম সিন পরিবর্তন করা হয়েছে। তাতেই তদন্তে সমস্যা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
ভাঙা ঘর
সিবিআই আধিকারিকদের অনুমান সেমিনার হলে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেনি। অন্যত্র হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছে ঘটনার পরের দিনই যে ঘর ভাঙা হয়েছে সেই ঘরেই ঘটেছে অপরাধ।
সিবিআই-এর অনুমান
৬ বা ৮ তলার কোনও ঘরে ওই নির্যাতিতাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়। মারধর করার পর অচেতন অবস্থায় সেমিনার হলে তাঁকে রেখে দিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।
সঞ্জয় রায়ের ভূমিকা
সিবিআই মনে করছে সঞ্জয় রায় অর্ধমৃতা তরুণীর ওপর শারীরিক অত্যাচার করেছিল। যৌন অত্যাচারের পরই তরুণীকে শ্বাররোধ করে খুন করেছে সঞ্জয়। তবে এখনও স্পষ্ট নয় সবকিছু
৪০ জনকে জেরা
সিবিআই সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত হাসপাতালের ৪০জনকে জেরা করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ছিল ডাক্তার, নার্স, হাসপাতাল কর্মী।
বিভ্রান্ত সিবিআই
সিবিআই-এর অনুমান অনেকেই জেরায় তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। যার কারণে ক্রাইন সিন শনাক্ত করতে পারেনি সিবিআই।
সিবিআই সূত্র
সিবিআই-এর একটি সূত্র বলছে, আরজি কর হাসপাতালেই অপরাধ হয়েছে। তবে ঠিক কোথায় হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে গণধর্ষণ নয়, এর তথ্য পাওয়ার পরই আদালতে জানিয়েছে সিবিআই।
তথ্য প্রমাণ লোপাট
আর সেই কারণে খুন আর ধর্ষণ থেকে সরে এসে সিবিআই তথ্য প্রমাণ কী ভাবে লোপাট হয়েছে তাই খুঁজতে বেরিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই সিবিআই মূল দোষীদের পাকড়াও করতে চাইছে।