আর জি কর তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটায় সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। শনিবার শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। আরজি কর কাণ্ডে আজ সাজা ঘোষণা।
আজ ১২.৪২ নাগাদ কাঠগড়ায় তোলা হয় সঞ্জয়কে। শুরু হয় শুনানী। আজ বিচারপক্রিয়া চলাকালীন বিচারকরে সামনে কেঁদে ফেললেন সঞ্জয় রায়। আজও কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেন, আমি কিছু করিনি। সব কিছু সবাই দেখছে। আগের দিন বলেছি। আমাকে অত্যাচার করা হয়েছে। আমি এসব কিছুই জানতাম না। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ছিল। তাহলে সেটি নষ্ট হয়ে যেত। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। জোর করে বয়ানে সই করানো হয়েছে। যা বলেছে তাই করেছি। সিবিআই গাড়ি করে নিয়ে যায়। শারীরিক পরীক্ষাও করেনি আমার। পুরোপুরি ফাঁসানো হয়েছে। বিচারক বলেন, চিকিৎসকের মৃত্যু সমাজের বড় ক্ষতি। তিনি সঞ্জয়ের আইনজীবীকে বলেন, সময় বেশি নেই। যা বলার সংক্ষেপে বলুন।
আজ ন্যায় বিচারের দিকে তাকিয়ে সারা দেশ তথা বিশ্ব। আজ শিয়ালদহ আদালত যেন দুর্গে পরিণত হয়েছে। নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে আদালত চত্বর। আজ আদালত কক্ষে সিবিআই ও নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী রাজদীপ হালদার আছেন। সাধারণের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। প্রায় ৫০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন হয়েছে। রয়েছেন দুজন ডিসি পদমর্যাদা আধিকারিকরা, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রয়ছে ৫জন, ইন্সপেক্টর ১৪ জন, এসআই পদমর্যতার আধিকারিকরা রয়েছে ৩১ জন, এএসআই পদমর্যতার আধিকারিকরা আচে ৩৯ জন, কনস্টেবল রয়েছেন ২৯৯ এবং মহিলা পুলিশ আছেন ৮০ জন।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, আমিও চাই ফাঁসি হোক। আনিও ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। অনেকেই রাস্তায় নেমেছিলেন। .. এদিকে আজ সকালে নির্যাতিতার বাবা-মা বলেন, অন্তত ৫০ জন জড়িত রয়েছে। আমরা দাঁতে দাঁত চিপে লড়াই চালিয়ে যাব। সঞ্জয়ের কঠোরতম শাস্তি দাবি জানাই। সকালেই আদালতে পৌঁছান তারা।