আক্রোশ মেটাতেই আরজি করের চিকিৎসককে খুন? মৃতার লাল ডায়েরি থেকে উত্তর খুঁজছে সিবিআই

সিবিআই-কে দিশা দেখাচ্ছে নির্যাতিতার ডায়েরির ছেঁড়া পাতা। তারই সূত্র ধরে সিবিআই আরজি কর হত্যাকাণ্ডের মোটিভ স্থির করতে তৎপর।

সিবিআই সূত্রের খবর নির্যাতিতার ডায়েরিতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আর আগামী দিনের স্বপ্নের কথা লেখা ছিল।

সেখান থেকেই খুনের মোটিভ বার করতে তৎপর সিবিআই। সিবিআই সূত্রের খবর ডায়েরি থেকেই বোঝা যেতে পারে কোনও সহপাঠী বা ঘনিষ্ট বা বন্ধুদের মধ্যে কেউ তাঁর শত্রু কিনা

সিবিআই বর্তমানে জোর দিচ্ছে নির্যাতিতার হাতের লেখার ওপর। সেই কারণে নির্যাতিতার উদ্ধার হওয়া ডায়ের আর খাতাপত্রও তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালাচ্ছে। সেখান থেকে কিছু পাওয়া যায় কিনা।

তদন্তে নেমে সিবিআই -এর আধিকারিকদের অনুমান নির্যাতিতাকে হত্যা আর ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটে তারই ঘনিষ্টরা যুক্ত ছিল।

সিবিআই-এর এক কর্তার কথায় কেউ যদি ব্যক্তিগত আক্রোষ চরিতার্থ করতে চায় তাহলে নির্যাতিতার ডায়েরিতে কিছু লিখতে পারে বা কাটতে পারে। আক্রোশ চরিতার্থ হওয়ার পর।

নির্যাতিতার ডায়েরিতে একটি অংশ কিছু লেখা হয়েছিল। তারপর সেটি কাটা হয়েছে। যা নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে সিবিআই-এর। সেই কারণে হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্টদের কাছে পাঠান হয়েছে।

নির্যাতিতার হাতের লেখা দেখে মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ঘটনার আগে কেমন ছিল নির্যাতিতার মনের অবস্থা - তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই।

নিহতের চার ডাক্তার বন্ধুর পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে। সেখান থেকে কোনও সূত্র পাওয়ার পরেই কি সিবিআই নির্যাতিতার ডায়েরি ও খাতাপত্র বেশি নাড়াচাড়া করছে- তার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

সিবিআই নির্যাতিতার ডায়েরি থেকে নির্যাতিতার ঘনিষ্ট ও দূরের মানুষদের নাময়ও খুঁজছে। কোথাও কিছু লেখা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তদন্তে নেমে সিবিআই-এরও প্রশ্ন কেন ঘটনার এফআইআর করতে দেরি করা হল। সকালের ঘটনা। এফআইআর দায়ের কেন রাতে করা হল - তারও উত্তরের খোঁজ করতে সিবিআই।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে একাংশের তদন্তকারীদের। চিকিৎসকরা কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলে গোটা ঘটনাকে হালকা করতে চেয়েছিল।