তার রুমের দরজায় আন্দোলনকারীদের সাঁটানো পোস্টার ছিঁড়ে, মুড়ে ফেলে ছুড়ে দেন সামনে বসে থাকা আন্দোলনকারীদের দিকে।
অভয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন আরজি কর ডিরেক্টর সন্দীপ ঘোষ। যখন তিনি হাসাতালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি এতটাই বেপরোয়া ছিলেন যে, তাঁর কিছু সংখ্যক সমর্থকরা বাদে বাকি প্রাক্তনীরাও এর আগে তার পদত্যাগ দাবি করে হাসপাতালে পোস্টার দিয়েছিলেন। সেই সময়কার সন্দীপ ঘোষের আচরণ ছিল ঔদ্ধত্যপূর্ণ।
আরজিকর হাসপাতালের পুরনো একটি ভিডিও এই সময় ভাইরাল হয়েছে যাতে দেখা যায়, সে সময় অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছিল মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে বসে ও শুয়ে বিক্ষোভ করছিল। সন্দীপ ঘোষ অগ্নিশর্মা হয়ে নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর তার রুমের দরজায় আন্দোলনকারীদের সাঁটানো পোস্টার ছিঁড়ে, মুড়ে ফেলে ছুড়ে দেন সামনে বসে থাকা আন্দোলনকারীদের দিকে। জানা গিয়েছে, ভিডিওটি ২০২২ সালের। সে সময় আরজি কর মেডিকেলের বিরুদ্ধে ফান্ড না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছিল বহুদিন ধরেই। তাঁর এই আচরণ, ঔদ্ধত্যপূর্ণ ব্যবহার, অসভ্যতার কারণে পদত্যাগ দাবির আওয়াজ উঠেছিল। তখনই সে এই অপরাধ করেছে। যদিও, দুর্নীতির অভিযোগ সামনে রেখে প্রথমে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল সন্দীপ ঘোষকে। পরে ধর্ষণ-খুন মামলায় গ্রেফতার হন এই সন্দীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, সন্দীপকে আঙুল তুলতেও দেখা যায়। একজন অধ্যক্ষের এই ব্যবহারে অনেক চিকিৎসকই বিস্মিত হয়েছিল সেদিন।