আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে কোথায় খুন আর ধর্ষণ করা হয়েছে- তার উত্তর এখনও পায়নি সিবিআই। প্রাথমিক তদন্তে সিবিআই-এর দাবি সেমিনার রুমে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ আর খুন করা হয়নি। প্রশ্ন তাহলে কোথায় ঘটেছে। এমন ঘটনা। তারই উত্তর খুঁজছে সিবিআই।
আদালতে সিবিআই-এর দাবি
আগেই সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই দাবি করেছে ক্রাইম সিন সেমিনার রুম নয়। অন্যত্র। এই সূত্র ধরেই এগিয়ে চলেছে সিবিআই। প্রাথমিক তদন্তে সিবিআই-এর অনুমান আরজি কর হাসপাতালেই খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের বাইরে কিছুই হয়নি।
অন্য ঘর
সিবিআই সূত্রের খবর, সেমিনার রুমের আশপাশের ঘরেই খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মৃতার দেহ এনে সেমিনার রুমে রেখে দেওয়া হয়নি। এমনভাবে রাখা হয়েছিল যাতে কেউ দেখলেই মনে করতে পারে মেয়েটি ঘুমিয়ে রয়েছে।
সিবিআই-এর নজর
সিবিআই বর্তমানে সেমিনার রুম,তারই লাগোয়া একটি ঘর আর তারও ভিতরের একটি ঘর নজরে রেখেছে। তিনটি ঘরের কোনও একটি আসল ক্রাইম সিন- তেমনই মনে করেছে তদন্তকারীরা।
ভাঙা শৌচালয়
আরজি কর কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার কয়েক দিন পরেই সেমিনার রুম লাগোয়া একটি ঘর আর শৌচালয় ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল। সেই সময় অনেকেই দাবি করেছিলেন যে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা হচ্ছে। যদিও সিবিআই বলেছে, শংশ্লিষ্ট দুটি ঘরে সেই রাতে লোক চলাচলের কোনও প্রমাণ নেই।
দুটি ঘর
সিবিআই সূত্রের দাবি,সেমিনার রুম লাগোয়া যে দুটি ঘর রয়েছে তারই একটিতে হয়েছিল সেই ঘজন্য ঘটনা। তাই দুটি ঘরের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে সিবিআই। কারণ একটি ঘরে বেড রয়েছে। সেখানে রোগী দেখার কাজ হলেও কোগী ভর্তি করা হত না।
সেই রাতে...
সিবিআই সূত্রের খবর সেই রাতে সেমিনার রুম ও তার পাশের দুটি রুমে নির্যাতিতা ও কয়েক জনের যাতায়াতের তথ্য তাদের হাতে রয়েছে। যে ঘর আর শৌচাগার ভেঙে ফেলা হচ্ছিল সেখানে সেই রাতে কেউ যায়নি বলেও অনুমান তদন্তকারীদের।
রাত ৯টার পরে
সিবিআই সূত্রের দাবি, ৮ অগাস্ট রাত ৯টার পরে নির্যাতিতা ও বেশ কয়েকজন সেমিনার রুম ও তার লাগোয়া দুটি ধরে কয়েক বার যাতায়াত করেছে - তেমনই তথ্য তাদের হাতে এসেছে।
সূত্রের উৎস
সিবিআই সূত্রের খবর নিহত চিকিৎসক ও কয়েক জনের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করেই তাদের হাতে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে। আর সেই মত সংশ্লিষ্ট দুটি ঘরেই রয়েছে তাদের কড়া নজর।
সিবিআইএর নজরে বাবা - মায়ের অভিযাগ
অন্যদিকে আরজি কর কাণ্ডের প্রমাণ লোপাট করতে চেয়েই নির্যাতিতার দেহ দ্রুত দাহ করা হয়েছে। এই অভিযোগ পরিবার ও আন্দোলনকারী জুনিয়ার ডাক্তারদের। সেই দিকটিও নজর দিচ্ছে সিবিআই। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বাবা ও মায়ের অভিযোগপত্র।
সময়- কোথায় গেল
নির্যাতিতার বাবার সই করা যে অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে এফআইআর করা হয়েছে তাতে কোনও সময়ের উল্লেখ নেই। সিবিআই সূত্রের খবর, সময়ের উল্লেখ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কেন বাবা ও অভিযোগপত্র গ্রহণকারী পুলিশ কর্মী সময়ের উল্লেখ করেননি সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নজরে প্রভাবশালী
সিবিআই-র নজরে রয়েছে নির্যাতিতার প্রতিবেশী এক প্রভাবশালী তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। কারণ সেই ব্যক্তির তৎপরতায় দ্রুত দেহ সৎকার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু কেন সেই ব্যক্তি শেষকৃত্যের জন্য তাড়া দিচ্ছিলেন তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।