আরজি কর-কাণ্ডে মিলছে না বয়ান আর ফোনের লোকেশন, মোবাইল ট্র্যাকে সিবিআই-এর হাতে ভয়ঙ্কর তথ্য
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নেমে ১২৫টিরও বেশি মোবাইল ফোনের গতিবিধির উপর নজর রাখছে সিবিআই। নিহতার সঙ্গে থাকা চিকিৎসকদের বয়ানের সঙ্গে তাদের মোবাইলের অবস্থানের মিল না পাওয়ায় এই ঘটনায় রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই-এর অন্যতম হাতিয়ার মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে সিবিআই জানার চেষ্টা করেছেন সেই রাতে নিহত চিকিৎসক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কোথায় কোথায় ছিলেন।
মোবাইলে নজর
সিবিআই সূত্রের খবর ৮ অগাস্ট সন্ধ্যে থেকে ৯ অগাস্ট সন্ধ্যে পর্যন্ত ডিপার্টমেন্টে যাতায়াতকারী সকলেরই কলডিটেলস, টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করা হচ্ছে।
নিশানায় কারা-
সিবিআই সূত্রের খবর আরজি কর হাসপাতালে নিহত চিকিৎসক থেকে শুরু করে সন্দেহভাজন, চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের যাতায়াতকারী প্রত্যেকেরও মোবাইল ফোনের রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিশেষ প্রযুক্ত
সিবিআই সূত্রের খবর তারা বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। আর সেই কারণে মোবাইল ফোনের লোকেশন স্পষ্ট করে জানতে পারছে তারা। সূত্রের খবর, অভিশপ্ত রাতে ফোনগুলির অবস্থান কোথায় কখন ছিল তাও স্পষ্ট হচ্ছে তাঁদের কাছে।
নজরে ১২৫ মোবাইল
সিবিআই সূত্রের খবর তাদের নজরে রয়েছে ১২৫টিরও বেশি মোবাইল ফোন। অর্থাৎ সেই রাতে ১২৫ জনের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে সিবিআই।
আগেই জিজ্ঞাসাবাদ
সিবিআই সূত্রের খবর, আগেই অভিশপ্ত রাতে আরজি করের কর্তব্যরত ও নিহতের সঙ্গে থাকা চিকিৎসকদের জেরা করা হয়েছে। কিন্তু তাদের বয়ানের সঙ্গে তাদের মোবাইলের অবস্থানের কোনও মিল নেই।
সিবিআই-এর অনুমান
সেই রাতে সঞ্জয়, সন্দীপ, আর চার চিকিৎসক যা বয়ান দিয়েছে তার সঙ্গে কোনও মিল নেই তাঁদের মোবাইল লোকেশনের। তাই তাদের উপস্থিতি জানতে মোবাইলের গতিবিধির ওপর বিশেষ নজর দিচ্ছে সিবিআই।
চিকিৎসকের জীবিত থাকা নিয়ে সন্দেহ
সিবিআই সূত্রের খবর, সেমিনার হল থেকে দেহ উদ্ধার হলেও সেখানে তরুণী চিকিৎসক জীবিত ছিলেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সিবিআই-এর অনুমান অন্যত্র খুন ও ধর্ষণ করে দেহ সেমিনার হলে গুছিয়ে রাখা হয়েছে।
সিবিআই-এর দাবি
সিবিআই অনুমান করেছে চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের পিছনে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। বা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই খুন করা হয়েছে। এই দুটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছে।
প্রমাণ লোপাটের জোরাল অভিযোগ
প্রথম থেকেই সিবিআই দাবি করেছে হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। ধীরে ধীরে তাদের দাবির পক্ষে সামনে আসছে একের পর এক তথ্য। সেমিনার হলে প্রচুর মানুষের ভিড়। মৃতার গায়ের চাদর থেকে শুরু করে সব কিছু নিয়ে বাড়ছে রহস্য।
সঞ্জয় সন্দীপকে টানা জেরা
রহস্যের জট খুলতে সিবিআই সন্দীপ ঘোষ আর সঞ্জয় রায়কে লাগাতার জেরা করেছে। তাদের পলিগ্রাফ টেস্টও করেছে। কিন্তু এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ সিবিআই।
আরজি করে যাচ্ছে সিবিআই
তদন্তভার হাতে নেওযার পরে সিবিআই প্রায় নিয়মিত আরজি কর হাসপাতালে যাচ্ছে। ঘুরে দেখেছে মর্গ, সেমিনার রুম, অধ্যক্ষের ঘরও। সেখান থেকেই তথ্য প্রমাণ পাওয়ার চেষ্টা করছে।