গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ। প্রায় ২ মাস হতে চলল। কিন্তু এখন অপরাধের কিনারা করতে পারেনি সিবিআই।
আরজি কর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে প্রশ্নচিহ্ন
আরজি কর হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত খুনের মোটিভ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। একই সঙ্গে অপরাধী এক জন না একাধিক জন- তা নিয়েও স্পষ্ট কোনও তথ্য সিবিআই জানাতে পারেনি।
জুনিয়র ডাক্তাদের দাবি
এই অবস্থাতে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি- খুনের মোটিভ কী ছিল, কেন এই হত্যাকাণ্ড তা জানাতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে।
জুনিয়র ডাক্তাদের দাবি
জুনিয়র ডাক্তারদের দ্বিতীয় দাবি- আরজি কর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ঠিক কতজন জড়িত,একজনই খুনি ও ধর্ষক না একাধিক জন যুক্ত ছিল তা সিবিআইকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে।
জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক
সোমবার রাতের দীর্ঘ জিবি বৈঠকের পর মঙ্গলবার সকালে ফের এক দফা সাংবাদিক বৈঠক করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেখানেই এই প্রশ্ন তোলেন অনিকেত মাহাতো।
অনিকেত মাহাতর প্রশ্ন
৯ অগস্টের ঘটনায় দোষীদের যদি অবিলম্বে গ্রেফতার না করা হয়, ঘটনার মোটিভ যদি প্রকাশ্যে না আসে, তবে আমরা কী ভাবে হাসপাতাল-প্রাঙ্গণে সুরক্ষিত বোধ করব?
হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধি
অনিকেত মাহাতোর বক্তব্য হল তাঁরা প্রথম থেকেই হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হাসপাতালের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে। তাই তারা আরজি কর হত্যাকাণ্ডের খুনের মোটিভ ও অপরাধীদের কথা জানতে চান।
নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
ধর্ষণ-খুনের ঘটনা পরিকল্পিত কি না, কারা কেন এমন ঘটনা ঘটাল, অপরাধে এক জনই জড়িত, না কি একাধিক— যত ক্ষণ না এই সব বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য প্রকাশ্যে আসছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ বোধ করছেন না তাঁরা
গ্রেফতার এক
অনিকেত বলেন এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তে টালবাহানার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং টালা থানার ওসি। কিন্তু প্রকৃত দোষী কারা? আমরা প্রথম দিন থেকেই বলে আসছি, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের অনুমান সত্যি কিনা তাাও জানতে চান তারা।
ডাক্তারদের দাবি
শুধু অনকল রুম কিংবা সিসিটিভি ক্যামেরা বসালেই কাজ শেষ নয়, তার পাশাপাশি নির্যাতিতার বিচারের ক্ষেত্রে সদর্থক ভূমিকা নিক সিবিআই, দাবি ডাক্তারদের।