আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎকসকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্ত ঠিকমত হচ্ছে না। পুলিশ বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ তুলল মৃতের পরিবার। মৃতের পরিবারের দাবি প্রথমে পুলিশ জানিয়েছিল তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরবর্তীকালে স্পষ্ট হয় তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। তারপরও মৃতদেহ নিয়েও পুলিশ বিভ্রান্ত করেছে বলেও অভিযোগ পরিবারের।
মৃতের পরিবারের দাবি, 'ময়নাতদন্তের পরে পুলিশই মেয়ের দেহ নিয়ে বাড়ি চলে যায়। আমাদের জানায়নি পর্যন্ত। আমরা তখনও হাসপাতালে মেয়ের দেহের অপেক্ষায় বসে ছিলাম।' মৃতের বাবার অভিযোগ, শুক্রবার সকালেই পুলিশ তাদের ফোন করেছিল। বলেছিল, মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাদের দ্রুত হাসপাতালে চলে আসতে বলে। মেয়ের বাবা জানিয়েছে, তারা তড়িঘড়ি হাসপাতালে যান। গিয়ে দেখেন, অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেয়ের মৃত দেহ। সারা শরীরে ছিল অসংখ্য ক্ষত। মেয়ের বাবা বলেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তাও নৃশংসভাবে। কিন্তু পুলিশ কি মৃতদের দেখে কিছুই বুঝতে পারেনি? এই প্রশ্ন তুলে প্রথম থেকেই পুলিশ তাদের বিভ্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মৃতের ঘনিষ্টদের অভিযোগ, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলেন্টায়ার। কিন্তু পুলিশ সেই তথ্য জানাতে অস্বীকার করেছে। কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল শুধু বলেছেন, 'আমাদের কাছে ঘৃণ্য একটা ঘটনার অপরাধী ছাড়া ধৃতের আর কোনও পরিচয় নেই।' তাতেই স্পষ্ট পুলিশ সবকিছু আড়াল করতে চাইছে। নিহতের ঘনিষ্টরা হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।