। প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে তাকে একটানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার আগে ও পরে তার ফোন থেকে আসা বা ফোনে রিসিভ করা সব কল খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিতর্কিত চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষকে তিন দিন ধরে মধ্যরাত পর্যন্ত জেরা করছে সিবিআই। গতকালও তাকে তলব করা হয়েছে। আরজিকর ঘটনার প্রথম থেকেই শিরোনামে ছিলেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান । সিবিআই এখনও পর্যন্ত ধর্ষণ এবং মৃত্যুর মামলায় হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। প্রাক্তন আরজি কর ডিরেক্টর সন্দীপ ঘোষকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে তাকে একটানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার আগে ও পরে তার ফোন থেকে আসা বা ফোনে রিসিভ করা সব কল খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, সিবিআই প্রাক্তন অধ্যক্ষ এখনও কিছু প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দেয়নি। 3-ডি লেজার ম্যাপিং। সন্দীপের অতীত নিয়ে আরও তদন্ত করছে সিবিআই। কলকাতা পুলিশের দুই সদস্যকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, সিবিআই গোয়েন্দাদের সন্দেহ, আরজিসিআর মামলায় ধরা পড়া সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় মানসিকভাবে অসুস্থ। কোন কোন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়নি সন্দীপ
এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালানোর এত তাড়া কেন?
আপনি নিজেও একজন ডাক্তার হয়ে অপরাধের দৃশ্য নিরাপদ রাখা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেননি?
কার পরামর্শে এবং কেন পরিবারের কাছ থেকে তথ্য গোপন করা হয়েছিল?
আপনি জানেন যে, অপরাধের দৃশ্যে প্রমাণের টেম্পারিং একটি অপরাধ। তারপরও কেন তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরাপদ রাখা হলো না?
কেন ঘটনা ঘটার কয়েক ঘণ্টা পর মৃত চিকিৎসকের পরিবারকে জানানো হলো?
তার পরিবারের কাছে লাশ দেখাতে দেরি হলো কেন?
হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী?
ঘটনার পরপরই কেন তিনি পদত্যাগ করলেন? এর পেছনের কারণ কী?
সঞ্জয়ের মোবাইলেও অনেক অশ্লীল ভিডিও মিলেছে। এখানে সঞ্জয়ের মনের কথা জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই তদন্তকারীরা। এই বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই দলের সঙ্গে AIIMS-এর একটি বিশেষজ্ঞ দলও রয়েছে। তদন্তের বর্তমান পর্যায়ে তারা সঞ্জয় রায়ের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা করতে চান।