আরজি কর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নতুন মোড়। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, নিহত চিকিৎসকের গবেষণাপত্র হাতবদলের ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনার সাথে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ছেলের যোগ থাকার অভিযোগ উঠেছে।
Saborni Mitra | Published : Sep 8, 2024 4:30 AM IST / Updated: Sep 08 2024, 11:06 AM IST
আরজি কর হত্যাকাণ্ড
আরজি কর হত্যাকাণ্ডের মোটিভ এখনও স্পষ্ট নয়। মোটিভ বার করতেই হিমসিম খাচ্ছে তদন্তকারীরা। একাধিকবার কথা বলেছে পরিবার আর ঘনিষ্টদের সঙ্গে।
গবেষণাপত্র নিয়ে জটিলতা
আরজি করের নির্যাতিতার খুনের মোটিভ বার করতে গিয়ে এবার সিবিআই-এর সামনে এসেছে নিহত চিকিৎসকের গবেষণাপত্র নিয়ে জটিলতা।
শেষ না হওয়া গবেষণাপত্র
আরজি করে নির্যাতিতার শেষ না হওয়া গবেষণাপত্রই এবার সিবিআই-এর নজরে। আর এই গবেষণাপত্রের ইতিবিত্ত জানতে সিবিআই কথা বলেছে মৃতার ঘনিষ্ট বন্ধ ও পরিবারের সামনে।
পরিবার জানিয়েছে গবেষণার কথা
সিবিআই সূত্রের খবর পরিবারের সদস্যরা মৃতার গবেষণাপত্রের হাতবদল হওয়ার কথা আধিকারিকরদের জানিয়েছেন। তাতেই সামনে এসেছে আরও একটি কারণ।
স্নাতকোত্তর স্তরে গবেষণা
নির্যাতিতার এক ঘনিষ্ট বন্ধু জানিয়েছেন, স্নাতকোত্তর স্তরে একটি থিসিস পেপার তাদের জমা দিতে হয়। থার্ড ইয়ারে সেটি জমা দিতে হয়। কিন্তু প্রথম বছর থেকেই সেই কাজ শুরু করে দিতে হয়।
থ্রিসিস সাবমিটের নিয়ম
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গবেষণার বিষয় অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর বা প্রফেসরকে জানাতে হয়। লিখিত আকারে এথিক্স কমিটিতে পাঠাত হয়। এথিক্স কমিটি পাশ করলে গবেষণার সারমর্ম পাঠাত হয় স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরই গবেষণার মূল কাজ শুরু হয়।
নির্যতিতা কী করেছিল
নির্যাতিতার বন্ধুর দাবি দ্বিতীয় বর্ষের মাঝামাঝি হয়ে গেছে। এই সবকটি ধাপ পেরিয়ে মৃতার গবেষণা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারই মধ্যে হাতবদল।
মৃতাকে নির্দেশ দিয়েছিল
একজন একটি হঠাৎ করেই মৃতাকে ডেকে জানিয়ে দেয় অন্য থিসিস তৈরি করতে। কারণ মৃতার বিষয়টি ভাল তাই অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কে কাকে দিল গবেষণাপত্র
সিবিআই সূত্রের খবর এবার তাদের তদন্তের নিশায়ায় সেই প্রফেসর আর ডাক্তারির সেই ছাত্র। যাদের জন্য মৃতার গবেষণাপত্র হাতবদল হয়েছে।
সিবিআই সূত্র
প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ছেলে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে সিবিআই সূত্রের খবর। নানাদিক দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে নির্যাতিতার ওপর চাপ তৈরি করেছে। কিন্তু নির্যাতিতার প্রতিবাদের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড- তাই খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।