'চাদরটা পর্যন্ত সরিয়ে দেখেনি', আরজি করের নির্যাতিতার ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহে ২ সিভিক ভলান্টিয়ার

আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আগেই উঠেছে। এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সোমবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছিল ফরেন্সিক নমুনা কে সংগ্রহ করেছিল। তারপরই সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সূত্রের খবর চার সদস্যের ফরেন্সিক দল গিয়েছিল ৯ আগস্ট আরজি কর হত্যাকাণ্ডের নমুনা সংগ্রহ করতে।

সূত্রের খবর আরজি করে গিয়েছিল সিনিয়র অফিসার, একজন সায়েন্টিফিকঅ্যাসিস্ট্যান্ট, আর দুই সিভিক ভলান্টিয়ার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুন এক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের কথায় বর্তমানে 'ওরাই যায়'। অর্থাৎ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়েই খুন, ধর্ষণের মত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

সূত্রের খবর ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নমুনা সংগ্রহের জন্য রয়েছে বিশেষজ্ঞ। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, চুরি- এজাতীয় অপরাধের নমুনা সংগ্রহের জন্য আলাদা আলাদা বিশেষজ্ঞ রয়েছে। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালের হত্যাকাণ্ডের মত স্পর্শকাতর বিষয়ে নিময়কে বুড়ো আঙুল দেখান হয়েছে বলেও অভিযোগ।

সূত্রের খবর, দুই সিভিক ভলান্টিয়ার -সহ চার জনের দল আরজি করের মৃতার নমুনা সংগ্রহে গিয়েছিল। কিন্তু তারা মৃতার শরীরের চাদর পর্যন্ত সরিয়ে দেখেনি।

রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল নির্যতিতার দেহ। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায় দেখেই বোঝা গিয়েছিল ধর্ষণ। কিন্তু তারপরেও চাদর না সরিয়ে আশপাশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেই দায় সেরেছিল ফরেন্সিক দল।

ভারতীয় আইন অনুযয়ী ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহের গোটা ঘটনই ভিডিওগ্রাফি করার কথা। চিপটি আদালতে পেশ করার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি। মোবাইল ফোনে শ্যুট করা হয়েছিল। পুলিশ কর্মীর মোবাইলের ভিডিও পাঠান হয়েছিল আদালতে।

আরজি কর হাসপাতালের মত মর্মস্পর্শী ঘটনার কোনও ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি। কিন্তু কেন? যার উত্তর নেই। কিন্তু এই প্রশ্নই প্রমাণ লোপাটের তত্ত্বকে আরও জোরাল করছে।