শুক্রবার আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী দাবি করেন, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের ফোন থেকে কিছু ভিডিও পাওয়া গেছে।
আরজি কর কাণ্ডে এবার প্রকাশ্যে হাড়হিম করা তথ্য। আর সেই তথ্যকে সামনে রেখেই সিবিআই শুক্রবার আদালতে সাওয়াল করে। আরজি কর হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকলীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের ফোনের ভিডিও সিএফএসএল রিপোর্টকেই হাতিয়ার করে সিবিআই। সিএফএসএল রিপোর্টকে সামনে রেখেই দুই জনের জেল হেফাজত চায় । তাতেই সায় দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সন্দীপ ও অভিজিৎকে থাকতে হবে জেল হেফাজতে।
আরজি কর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর রিপোর্টঃ
শুক্রবার আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী দাবি করেন, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের ফোন থেকে কিছু ভিডিও পাওয়া গেছে। যা তদন্ত সাপেক্ষ। এই ভিডিওগুলি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন রয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি আরজি কর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে সন্দীপ ও অভিজিৎ কিছু ফোনক করেছিলেন। কয়েকজন সাক্ষীকে ফোন করেছিলেন তাঁরা। সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। আর সেই কারণেই দুই অভিযুক্তকে প্রয়োজনে আরও জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে। তাই সিবিআই ১৪ দিনের বিচরবিভাগীয় হেফাজতে আবেদন জনায়। সিবিআই-এর দাবি জেল থেকে ছাড়া পেলেই সন্দীপ ও অভিজিৎ সাক্ষীদের প্রাভাবিত করবে। এমনকি প্রমাণ লোপাটও করতে পারে। সেই কারণেই দুজনেরই জেল হেফাজতের প্রয়োজন রয়েছে। সিবিআই সেই আবেদন মঞ্চর করেছে। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দুজনেরি জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই।
তবে সিবিআই সন্দীপ ঘোষের নার্কো পরীক্ষা আর অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ টেস্ট করার আবেদন জনিয়েছিল। দুটি আবেদনই খরিজ করে দিয়েছে সিবিআই। সিবিআই এদিন আদালতে জানিয়েছে, আরজি কর হত্যাকাণ্ড- ৮ আগস্টের আগে ও পরে অর্থাৎ ৯ আগস্ট পর্যন্ত দুজনের গতিবিধি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। সিবিআই আদালতে এদিন বলেন সন্দীপ ও অভিজির আরজি কর হত্যাকাণ্ডের পূর্ব পরিকল্পনায় শামিল ছিলেন কিনা তাও তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
সন্দীপ ও অভিজিৎকে আরজি কর হত্যাকাণ্ডের তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল সিবিই। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণী খুনের ঘটনায় পেশ করা চার্জশিটেও সন্দীপ ও অভিজিতের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাট করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।