আরজি কর হাসপাতালের নিহত নির্যাতিতার ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। শ্বাস রোধ করা হয়েছে। যার অর্থ ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী জোর করে যৌন সম্পর্ক তৈরির ছাপ স্পষ্ট পাওয়া গেছে নির্যাতিতার দেহে। ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ।
নিহত তরুণী চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর শরীরে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। মাথা, গলা, ঠোঁট, নাক, ডান চোয়াল, চিবুক, গলা , বাঁ হাত, বাঁ কাঁধ, বাঁ হাঁটু গোড়ালি ও যৌনাঙ্গে প্রচুর ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে ফুসফুলে রক্ত জমাট বেঁধেছিল। শরীরের বেশ কিছু অংশ রক্ত জমাট অবস্থায় পাওয়া গেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যৌনাঙ্গে জোর করে কিছু প্রবেশ করা হয়েছিল। রিপোর্টে লেখা হয়েছে পেনিট্রেশন বা ইনসারশন।
কলকাতা হাইকোর্টে যে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে নির্যাতিতার দেহে ১৫০ গ্রাম বীর্য বা সিমেন পাওয়া গেছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্টে তেমন কোনও উল্লেখ নেই। রিপোর্টে লেখা হয়েছে নির্যাতিতার এন্ডোসার্ভিক্যাল ক্যানাল থেকে 'সাদা ঘন চটচটে তরল' সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে সেই তরল কী, তার উল্লেখ নেই রিপোর্টে। রিপোর্টে এক্সটারন্যাল ও ইন্টারন্যাল জেনিটালিয়া যার ওজন কলমে লেখা হয়েছে ১৫১ গ্রাম। প্রসঙ্গত, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নিয়ম মেনে মৃতদেহের বিভিন্ন অংশের ওজন উল্লেখ করা হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। এক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের কথায়, 'যে সাদা চটচটে তরলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটা কী বস্তু তা ফরেন্সিক রিপোর্ট থেকে জানা যাবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমন কিছু লেখা যায় না। কারণ, সেটা পরীক্ষাসাপেক্ষ বিষয়।'
তবে আগেই দাবি করা হয়েছিল মহিলার দেহের একাধিক হাড় ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু ময়না তদন্তের রিপোর্টে সেরকম কোনও উল্লেখ নেই। রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে জোর করে শ্বাসরোধ করে দেওয়ার কারণেই মৃত্যু। মৃত্যুর ধরনকে খুন বলেই চিহ্নিত করা হয়েছে। যৌনাঙ্গে জোর করে কিছু প্রবেশ করানোর মেডিক্যাল প্রমাণ রয়েছে। যৌন হেনস্থার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।