আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের মোবাইল নিয়ে আবারও সমস্যায় পড়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পরপরই তৎকালীন অধ্যক্ষ বেশকিছু ফোনকল ও হোয়াটসঅ্যাপ কল করেন। এই দিনই তিনি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও করেন। কিন্তু সেই সবই তিনি তাঁর ফোন থেকে ডিলিট করে দিয়েছেন। ফোন থেকে মুছে ফেলা তথ্য পুনরুদ্ধার করতেই তৎপর সিবিআই। রবিবারই সন্দীপের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে ফরেন্সিকে পাঠিয়েছে। সোমবারই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে। সেখানেই ফোন সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
সন্দীপ ঘোষকে ফোন সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। এছাড়াও একাধিক বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে। সেই প্রশ্নগুলি হলঃ
১। কেন আচমকা সন্দীপ তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটগুলি ডিলিট করেছেন
২। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর সন্দীপ কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন
৩। কেন নির্যাতিতা নিহত তরুণীর মা ও বাবাকে প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বাধ্য করেছিলেন
৪। নিহতের বাড়িতে প্রথমে ফোন করে কেন আত্মহত্যার কথা হল
৫। আত্মহত্যার কথা বলতে কে নির্দেশ দিয়েছিল
৬। ঘটনার পরই জরুরি ভবন আর সেমিনার হলের পাশের ঘরগুলি সংস্কারের নির্দেশ কে দিয়েছিল
৭। ফোনের কললিস্ট কেন মুছে ফেলে ছিলেন
৮। ঘটনার সময় সন্দীপ কোথায় ছিলেন
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষেক ফোনের কললিস্টের তালিকার বিবরণের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের তলিকাও পরীক্ষা করেছে। সিবিআই সূত্রের খবর রবিবার তাঁকে তলব করা হয়েছিলয গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয়েছিল। আজ সকালে আবারও তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে। তিনি হাজিরাও দিয়েছেন নির্দিষ্ট সময়। তাঁকে জেরা করা হয়েছে। গতকাল তাঁকে যে যে প্রশ্নগুলি করা হয়েছে আজ আবারও সেই একই প্রশ্ন করা হতে পারে। সূত্রের খবর গতকালের উত্তরের সঙ্গে আজ সন্দীপ কী কী উত্তর দেন তাও মিলিয়ে দেখে তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি বার করা হবে হলেও সূত্রের খবর। সিবিআই জানতে পারেছে সন্দীপের সঙ্গে একাধিক প্রভাবশালীর যোগাযোগ রয়েছে। নিয়মিত তাদের সঙ্গে কথা হত। ঘটনার আগে ও পরের কোন কোন প্রভাবশালীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাও খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে সিবিআই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।