আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নৃশংস ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি শাসক দলও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাস্তায় নেমেছে। বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা তাঁকে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় একযোগে বিজেপি ও সিপিআইএম-কে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা বলেছেন, 'সন্দীপ ঘোষের তো গুণের শেষ নেই। ২০২১ সালে ভালো পাটাকে ব্যান্ডেজে জড়িয়েছিলেন উনি। একটা সীমাহীন কৃতজ্ঞতাবোধ তো রয়েছে তাঁর। চিৎকার করে বলে বেড়াচ্ছেন রাম-বাম, রাম-বাম। রাম-বাম, সন্দীপ ঘোষ দিতেন খাম।' তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে আর জি করে হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছেন বিরোধী দলনেতা।
মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা বলছেন, দাবি সুজনের
মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে সুজন বলেছেন, ‘মিথ্যার পর মিথ্যা বলে চলেছেন। সত্য বলার যোগ্যতা নেই। যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তারপর থেকে কিন্তু রাস্তায় নামেননি মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তায় নামলেন কখন? যখন একেবারেই ধরা পড়ে গিয়েছেন। সারা বাংলার মানুষ ১৪ অগাস্ট রাস্তায় নেমেছেন। ম্যানটনের সভা থেকে (মুখ্যমন্ত্রী) যা বলেছিলেন সেই অনুযায়ী কাজ হয়েছে। আজ ওঁর বলা উচিত ছিল পুলিশ কী করছিল। পুলিশ মন্ত্রী কে? পুলিশ কমিশনারকে বরখাস্ত করেননি কেন? তা করতে না পেরেই অসত্য বলছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে মানুষ হাসছে।’
কলকাতা পুলিশকে আক্রমণ স্মৃতি ইরানির
বিজেপি-র রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতা-নেত্রীরাও আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে শাসক দল ও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করছেন। মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে না পারায় কলকাতা পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেছেন স্মৃতি ইরানি। তিনি কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'ডক্টর জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইডের মতো আচরণ মুখ্যমন্ত্রীর,' কটাক্ষ রাজ্যপালের
রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরেই গ্রেফতার, সিবিআই-এর জালে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ