আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের উপর নৃশংস অত্যাচারের ঘটনার প্রতিবাদে সরব সারা দেশ। সমাজের সব স্তরের মানুষ এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
ডায়েরি লেখার অভ্যাস ছিল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিহত চিকিৎসকের। তাঁর নৃশংস মৃত্যুর পর সেই ডায়েরি খুঁজে পান বাবা-মা। যদিও ডায়েরির পাতা ছেঁড়া ছিল। সেই ডায়েরির ছেঁড়া পাতার ছবি তুলে রেখেছেন মৃত চিকিৎসকের বাবা। তিনি সিবিআই-কে সেই ছবি দিয়ে সহযোগিতা করতে চান। অবশ্য যদি সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান, একমাত্র তাহলেই তদন্তে সাহায্য করবেন মৃতার বাবা। তিনি অবশ্য প্রকাশ্যে মেয়ের ডায়েরির লেখার বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ। তদন্তকারীরা চাইলে তাঁদেরই এ বিষয়ে জানাবেন মৃত চিকিৎসকের বাবা।
মৃত্যুর আগে ডায়েরিতে শেষ লেখা
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তভার গ্রহণ করার পর মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁরা মৃতার ডায়েরি নিয়ে গিয়েছেন। তবে সেই ডায়েরির পাতা ছেঁড়া ছিল। এ প্রসঙ্গেই মৃতার বাবা জানিয়েছেন, 'আমাদের হাতে একটি পৃষ্ঠার ছবি রয়েছে। কী লেখা রয়েছে বলব না। সেই পৃষ্ঠার ছবি এখনও সিবিআই-কে দিইনি। সিবিআই নিশ্চয়ই বলবে। তখন দেব।'
কী লেখা আছে ডায়েরিতে?
মৃত চিকিৎসকের বাবা জানিয়েছেন, 'মৃত্যুর আগে লিখেছিল। কী লিখেছিল বলব না। সারমর্ম হল, সুখে থাকতে চায়।' মৃতার বাবা আরও জানিয়েছেন, তাঁদের সন্দেহ, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের সেমিনার রুম নয়, অন্য কোথাও খুন করে দেহ এনে রাখা হয়েছিল। তাঁদের যখন মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হয়েছিল, তখন অনেক কিছু বদলে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ আধিকারিকদের শাস্তির দাবিও জানাচ্ছে মৃতার পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, প্রথম থেকেই আসল ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'বেসুরো' সুখেন্দু শেখর রায়কে তলব লালবাজারে, পুলিশ কুকুর নিয়ে পোস্ট করে বিপাকে তৃণমূল নেতা
RG Kar Update: ধৃতের আচরণ নিয়ে ধোঁয়াসা? দিল্লি থেকে এল সিবিআই-এর মনস্তাত্ত্বিক দলের কর্তরা