জেরায় জেরবার সন্দীপ আর অভিজিৎ, জানুন আরজি কর -কাণ্ডে দুই 'কালপ্রিট'কে ঠিক কতক্ষণ জেরা করল সিবিআই

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তৎকালীন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। চিকিৎসক হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় তাদের দুজনকেই হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই।

সিবিআই সূত্রের খবর সন্দীপ বা অভিজিৎ দুজনের কেউ আরজি কর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নয়। কিন্তু পরোক্ষ ভাবে দুজনেরই ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই হেফাজতে নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর।

১৫ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর হাসপাতালকাণ্ডের তদন্ত ভার নিয়েছিল সিবিআই। তারপর থেকে এপর্যন্ত সন্দীপকে লাগাতার জেরা করা হয়েছে।

সিবিআই সূত্রের খবর এপর্যন্ত সন্দীপকে ১৪ দফায় ২০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়। আরও জেরা করা হবে তাঁকে।

সিবিআই সূত্রের খবর অভিজিৎ মণ্ডলকে এপর্যন্ত প্রায় ৪০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আগামী দিনে আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে।

সিবিআই সূত্রের খবর সন্দীপ আর অভিজিৎকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ দুজনের বয়ানে যেমন কিছু মিল রয়েছে তেমনই কিছু গরমিল রয়েছে। সেগুলি কাটাতে মুখোমুখি জেরা করা হবে।

সিবিআই আরজি কর হত্যাকাণ্ডে তদন্তে নেমে এতদিন পরে শনিবার সন্দীপ আর অভিজিৎকে গ্রেফতার করে। দুজনকেই রবিবার শিয়ালদহ আদালত ৩ দিনের সিবিআই হেফাজত দিয়েছেন।

সিবিআই সূত্রের খবর ১৭ সেপ্টেম্বর অর্থা মঙ্গলবার পর্যন্ত দুজনকেই জেরা করে যতসম্ভত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। আদালত গ্রাহ্য প্রমাণ ও তথ্য জমাদিতে পারলেই তদন্তের কাজ অনেকটা এগিয়ে যাবে।

এদিন অভিজিৎ আর সন্দীপকে শিয়ালদহের বিআর সিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। তারপর আবারও ফিরিয়ে আনা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে।

এর আগেই সন্দীপকে সিবিআই আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। এবার গ্রেফতার খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে। সিবিআই সূত্রের খবর আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত প্রয়োজনী নথি ইতিমধ্যেই তারা সংগ্রহ করতে পেরেছে।

সিবিআই সূত্রের খবর অভিজিতের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলত- সহ তদন্তের গতিপথ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

সিবিআই সূত্রের খবর তদন্তকারীরা জানতে চায় কার নির্দেশে অভিজিৎ আর সন্দীপ কাজ করেছিলেন। এই ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল কেন।