একাকীত্ব গ্রাস করেছে সঞ্জয়কে, নিঃসঙ্গ বোধ করছেন জেলে, সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তরের দাবি অভিযুক্তের আইনজীবীর
ধৃত সঞ্জয় রায় আদালতে একাকীত্বের কথা জানিয়ে সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তরের আবেদন করেছেন। তিনি জামিনেরও আবেদন করেছেন। শুনানিতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
আমি খুব একা। আরজি কর মামলায় শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে কান্নাভেজা গলায় বললেন ধৃত সঞ্জয় রায়। একাকীত্বে ভুগছেন সঞ্জয়।
একাকীত্বের যুক্তিতে একক সেলে নয়, সংশোধানাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তরের আবেদন করলে আইনজীবী কবিতা সরকার।
শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে আইনজীবীর এই আবেদনের পর বিচারক জানতে চান, কেন সঞ্জয়কে আর পাঁচজন বন্দির সঙ্গে রাখা হবে না, যেখানে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মতো স্পর্শকাতর বিষয় তিনি গ্রেফতার হয়েছে, তাতে আইনজীবীর দাবি, সরলের সঙ্গে থাকলে সে মানসিক চাপমুক্ত থাকবে।
আরজি কর মামলার শুনানিতে ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন সঞ্জয়। এদিন সঞ্জয় বলেন, স্যার আমায় জামিন দিন। আমি কিছু করিনি। যেখানে আমায় রাখা হয়েছে, আমি খুব একা।
বিচারক জানান, আপনার আইনজীবী এই আবেদন করেছেন। এদিন সঞ্জয়ের জামিনের কথা বলেন কবিতা সরকার। সঙ্গে বলেন, সঞ্জয় একাকীত্ব অনুভব করছে, তাই তাঁকে জেনারেল ওয়ার্ডে রাখা হোক।
৯ অগস্ট আরজি কর থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল তাঁকে। এখনও চলছে তার তদন্ত।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায়কে। সিসিটিভি ক্যামেরায় তাঁকে সেই সেমিনার রুমে ঢুকতে দেখা যায়। তেমনই তাঁর হেডফোন মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়।
এই ঘটনায় তদন্তে নেমে একের পর এক তথ্য সামনে এসেছে। সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই কর্তারা। একাধিক দুর্নীতি সামনে এসেছে প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
তেমনই চলছে তদন্ত। আর্থিক দুর্নীতি থেকে মরদেহ নিয়ে দুর্নীতি সামনে আসে। শবদেহের সঙ্গে সঙ্গম, সেই ভিডিও বিদেশে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। তেমনই হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির বিষয় তো আছেই।