সরকারি কর্মীদের সংগঠন ইউনিটি ফোরামের রাজ্যের সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্যের প্রকৃত খরচের চিত্র জানতে তথ্য জানার অধিকার আইন বা RTI-এর দ্বারস্থ হয়েছে।
রাজ্য সরকার আপাতত রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ দিচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বকেয়া ২৫ শতাংশ ডিএ ইস্যুতে।
212
রাজ্য সরকারের যুক্তি
রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে করণ হিসেবে জানিয়েছে ডিএ দিতে সম্স্যা আর্থিক সংকট। রাজ্যের ঘাড়ে প্রচুর আর্থিক বোঝা রয়েছে।
312
রাজ্য সরকারি কর্মীদের পাল্টা পদক্ষেপ
এই অবস্থায় রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সংগঠন ইউনিটি ফোরামের রাজ্যের সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্যের প্রকৃত খরচের চিত্র জানতে তথ্য জানার অধিকার আইন বা RTI-এর দ্বারস্থ হয়েছে।
গত ২৬ জুন RTI দাখিল করেছে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একটি সংগঠন। পশ্চিমবঙ্গে সরকারের অর্থ দফতরে আবেদন করা হয়েছে।
512
আবেদনের মূল লক্ষ্য
রাজ্য সরকারি কর্মীদের সূত্রের খবর আবেদনের মূল লক্ষ্যই হল চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর হওয়া ডিএ সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা।
612
কর্মীদের একাংশের দাবি
এই আবেদনের তথ্য হাতে পেলে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারের আর্থিক দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা সামনে আসবে বলেও মনে করছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ।
712
কী কী তথ্য চাওয়া হয়েছে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পলাশ দত্ত তাঁর আবেদনে মূলত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। প্রশ্নগুলি হলঃ
812
প্রাপকদের শ্রেণিবিন্যাস
সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কোন কোন শ্রেণীর মোট কতজন কর্মী বা পেনশনভোগী এই মহার্ঘ ভাতার আওতায় রয়েছেন। প্রত্যেকটি বিভাগের সরকারি কর্মীদের সংখ্যাও আলাদা করে জানতে চাওয়া হয়েছে।
912
মোট প্রাপকের সংখ্যা
সব বিভাগ মিলিয়ে এই মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ফলে কতজন উপকৃত হচ্ছেন।
1012
বিভাগভিত্তিক খরচ
প্রতিটি বিভগের জন্য মহার্ঘ ভাতা দিতে সরকারের ঠিক কত টাকা খরচ হচ্ছে, টাকার মোট অঙ্ক জানতে চাওয়া হচ্ছে।
1112
বার্ষিক মোট খরচ
২০২৫-২৬ অর্থ বর্ষে ডিএ দিয়ে কত টাকা খরচ হবে সরকারের- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
1212
ডিএ নির্ধারণের ভিত্তি
ঠিক কিসের ভিত্তিতে বা কোন মাপকাঠির ওপর ভিত্তি করে রাজ্য সরকার ডিএ-র হার নির্ধারণ করেছে।