- Home
- West Bengal
- Kolkata
- ছুরি দিয়ে কোপানো থেকে শ্লীলতাহানি, ৩ বার FIR দায়ের হলেও 'কোন জাদু'তে পার পেয়ে যেত মনোজিৎ মিশ্র
ছুরি দিয়ে কোপানো থেকে শ্লীলতাহানি, ৩ বার FIR দায়ের হলেও 'কোন জাদু'তে পার পেয়ে যেত মনোজিৎ মিশ্র
সম্প্রতি রাজ্য উত্তাল কসবা আইন কলেজে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায়। যা অভিযোগ উঠেছে তাতে স্পষ্ট তরুণীকে কলেজের নির্ধারিত সময়ের পরে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে।

কসবা আইন কলেজের ধর্ষণ
সম্প্রতি রাজ্য উত্তাল কসবা আইন কলেজে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায়। যা অভিযোগ উঠেছে তাতে স্পষ্ট তরুণীকে কলেজের নির্ধারিত সময়ের পরে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে।
মূল অভিযুক্ত
কসবা ল কলেজের ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কলেজেরই প্রাক্তনী মনোজিৎ মিশ্র। কলেজের অস্থায়ী কর্মীও। কলেজের পড়ুয়া ও কর্মীদের কথায় কলেজে রীতিমত দাপট ছিল তাঁর।
মনোজিৎ মিশ্র
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট অনুযায়ী মনোজিৎ ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ট। যদিও প্রথমে তৃণমূল সেই দায় এড়িয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তা পারেনি।
পুলিশের খাতায় জনপ্রিয়
পুলিশের খাতাতেও যথেষ্ট জনপ্রিয় নাম মনোজিৎ মিশ্র। একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার নামে। প্রশ্ন, তারপরেও রীতিমত নিষ্ক্রীয় ছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মনোজিতের নামে ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনটি এফআইআর করা হয়েছে।
প্রথম এফআইআর
মনোজিতের বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআর করা হয়েছিল ২০১৩ সালে কালীঘাট এলাকায়। একজন ক্যাটারিং কর্মীকে ছুরির কোপ মারার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সাল অবধি অধরা থাকে সে, পুলিশও পরে এই নিয়ে আর কোন তদন্ত করেনি, ধামাচাপা পড়ে যায় বিষয়টা।
দ্বিতীয় এফআইআর
দ্বিতীয় অভিযোগ ২০১৭ সালে। আগে একবার কলেজে ভর্তি করা হলেও তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে দ্বিতীয়বার কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন মনোজিৎ। সেই সময় নিজের স্বরূপ দেখিয়ে কলেজে ভাঙচুর চালায়। সেই সময় কলেজ কর্তৃপক্ষই গড়িয়াহাট থাকায় এফআইআর দায়ের করে। তখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
তৃতীয় অভিযোগ
মনোজিতের বিরুদ্ধে তৃতীয় এফআইআর দায়ের হয় ২০২২ সালে। এক মহিলার শ্লীলতাহানির দায়ে। সেই সময়ও প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যায় মনোজিৎ। এছাড়াও মনোজিতের বিরুদ্ধে ব়্যাগিং, তোলাবাজি-সব একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
কলেজে দাদাগিরি
কসবা ল কলেজে রীতিমত দাদাগিরি চলত মনোজিতের। কলেজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজের লিঙ্ক সরাসরি আসত তাঁর মোবাইল ফোনে।
কলেজে ঢোকা নিষেধ
মনোজিতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকায় তার কলেজে ঢোকা নিষেধ হয়েছিল। ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কলেজে ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ থেকেই তিনি ছিলেন সর্বেসর্ব।
অস্থায়ী কর্মী হিসেবেও নিয়োগ
কলেজের যে পরিচালন সমিতি এক সময়ে মনোজিতের ক্যাম্পাসে ঢোকা রুখেছিল, সেই একই পরিচালন সমিতি তাকে গত বছর ওই কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করে। কোনও কাজ না-করেই সে ছড়ি ঘোরাত কর্তৃপক্ষ থেকে নিরাপত্তারক্ষী— সবার উপরে। কলকাতা পুলিশও পুরোপুরি চোখ বন্ধ করে ছিল।

